স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা এবার মামলার শিকার হলেন। আওয়ামী লীগের সাংসদ থাকাকালীন নড়াইলে তার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা মাশরাফি মামলা থেকে ছাড় পেলেন না। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সংগঠন ‘ক্রিকেট প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ এর কোনো কর্মকর্তা এই মুহূর্তে তাদের মন্তব্য দিতে অপরাগতা জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়াও তার বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ। মাশরাফির নামে নড়াইলে এটিই প্রথম মামলা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফি ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শটগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরাসহ জনতা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে সেদিন রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফি ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শটগান ও পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়।
বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। সেই সঙ্গে বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল। এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনো চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে নাম উঠেছে সাকিব আল হাসানের। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলীর রিংরোডে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন রুবেল। সেখানেই পুলিশের দুইটি গুলি লাগে তার বুক ও পেটে। পরে ৭ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপরই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।