এল আর বাদল: বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ২৪ বছরের ইতিহাসে ২০তম এবং বিদেশের মাটিতে সপ্তম জয় পেলো। এবার লাল-সবুজের দেশ পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় চতুর্থ দিন পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি টেস্টকে ড্রয়ের পথে রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম দিন সেই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল ১৪৬ রানেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। ৩০ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারাল বাংলাদেশ।
রোববার (২৫ আগস্ট) শেষ দিনে পেসারদের দাপটের পর সাকিব ও মিরাজের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের পাল্টা আক্রমণের ফিফটিতে লিড পায় স্বাগতিকরা। এই উইকেটকিপার-ব্যাটার আউট হতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ ওভার ৩ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। এর আগে দিনের দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদকে (১৪) তুলে নিয়ে উইকেট উৎসবের শুরুটা করেন হাসান মাহমুদ। পরের ওভারেই কোনো রান না করা বাবর আজমকেও সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু শরিফুল ইসলামের বলে এবার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস।
তৃতীয় উইকেটে শফিক-বাবরের জুটিতে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় থাকা পাকিস্তানের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান নাহিদ রানা। ডানহাতি এই তরুণ ফাস্ট বোলারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন বাবর (২২)। পরের ওভারেই প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো সৌদ শাকিলকে (০) স্ট্যাম্পিং করিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেন সাকিব।
দলকে চাপ মুক্ত করতে ক্রিজে এসেই পেসারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন রিজওয়ান। তবে বাংলাদেশের হয়ে আবারও দৃশ্যপটে আসেন সাকিব। এবার তুলে নেন শফিকের উইকেট (৩৭)। ভাঙেন ৩৭ রানের জুটি। পরের ওভারে মিরাজের শিকার হন আগা সালমান (০)।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্রুত শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে পাকিস্তান। নবম উইকেটে খুররাম শেহজাদকে নিয়ে ২৪ রানের জুটি করে দলের কেবল লিড বাড়ান রিজওয়ান। বাংলাদেশের হয়ে ৪ টি উইকেট নেন মিরাজ, সাকিবের শিকার ৩টি। শরিফুল, হাসান ও নাহিদের শিকার একটি করে উইকেট।