শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২৪, ১২:২৫ রাত
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ হবে না, তবে একটা সিস্টেম দাঁড় করাতে চাই : ফারুক আহমেদ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্সের কথা সবাই জানতো। সদ্য সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ৯০০ কোটি টাকার কথা বুক ফুলিয়ে প্রচার করতেন; কিন্তু বিসিবির অভ্যন্তরে যে বিশাল দুর্নীতি হতো, সে কথা ক’জনই বা জানতো? কেউ জানলেও ভয়ে প্রকাশ করতে পারতেন না। এমনকি কোনো মিডিয়াও সাহস করে প্রকাশ করতে পারেনি।

এবার নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই বিসিবিতে দুর্নীতির বিষয়ে কথা বললেন ফারুক আহমেদ। আজ বিকেলে মিরপুরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো রাখ-ঢাক না করেই তিনি বললেন, ‘প্রতিটা সেক্টরেই দুর্নীতি হয়েছে বাংলাদেশে। এটা আমরা সবাই জানি। আমরা তো সবাই বাংলাদেশেরই মানুষ। এক্ষেত্রেও কিন্তু, প্রতিটা সংগঠনে যেমন দুর্নীতির কথা শুনেছি; ক্রিকেট বোর্ড এটার বাইরে না। যদি এরকম কিছু থাকে, এটা আমরা লুক আফটার করবো। আমরা দেখবো জিনিসটা কী হয়েছে।’

তবে চাইলেই রাতারাতি দুর্নীতি বন্ধ করা যে সম্ভব নয়, সে বাস্তবতাও দেখালেন নতুন সভাপতি। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এটা কেউ যদি বলে, আমি তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করবো না; কিন্তু একটা সিস্টেম চালু করতে হবে। যেখান থেকে আমরা এই জিনিসগুলো (দুর্নীতি) কমাতে পারবো। একসময় দুর্নীতমুক্ত একটা জায়গা পাবো।’

কেন দুর্নীতি চাইলেই পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফারুক, ‘অনেক সময় অনেক কাজ করা যায় না। অনেক ধরনের আউটসাইড প্রেশার থাকে। আশা করবো এবার আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় যতটুকু সম্ভব সুন্দর সিস্টেম দাঁড়া করাতে চাই।’

ফারুক আহমেদ যখন প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাদের বিপক্ষে লড়াই করে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘সাবেক কমিটির বিপক্ষে লড়াই এটা পুরোনো কথা, একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। এটা আমার সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি থাকবে যে সিস্টেমটা আমি তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়ী দেশ। অন্য অনেকের মত ফারুক আহমেদও স্মরণ করিয়ে দিলেন সে কথা। কিন্তু তার মত হচ্ছে, এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। যে কারণে যতটা ফল পাওয়ার কথা ছিল, ততটা পাওয়া যায়নি। ফারুক বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের মতো একটা সম্ভাবনাময় দেশে; আমাদের যতটুকু করার দরকার ছিল ততটুকু করতে পারিনি। তবে এটাও বলতে হবে যে, আমাদের সাফল্য একদম কম না। হয়তো কিছু পার্টিকুলার সেক্টরে আমরা আরও উন্নতি করার কথা ছিল। যেগুলো করতে পারিনি। এখন আমাদের দায়িত্ব হবে এই সিস্টেমটাকে রিবিল্ড করার।’

বিসিবিতে আগামী নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন করতে হবে বলেও জানান ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি এটাও চাই যে, আলোকপাত করতে হবে আমরা যে গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত হই এবং ইভেনচুয়ালি প্রেসিডেন্ট হই, (এটার প্রতি)। এই গঠনতন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা করতে হবে, ভালো কী হয়! সামনের বছর আরেকটা নির্বাচন আছে। সম্ভবত তার আগে গঠনতন্ত্রে একটু হাত দিতে হবে। যেটা আমরা করব, যাতে সত্যি সত্যি যারা ক্রিকেট ভালোবাসে, ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চায়, তাদের আসলে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’

বিসিবির অংশ হয়ে ক্রিকেটের সেবা করতে মুখিয়ে অনেক মানুষ। তবে ফারুক আহমেদ চানা, প্রকৃতই যাদেরকে ক্রিকেটের উন্নতি হবে, যারা ক্রিকেটের সঙ্গে আছেন, তেমন মানুষদের সুযোগ দিতে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১৮ কোটি মানুষের দেশে। আমাদের দেশে আপনারা, আমরা খেলোয়াড়রা, আমাদের দর্শক যারা আছেন; তারা এতটা ক্রিকেট পাগল। এখানে অনেক এলিমেন্ট ঢুকে যায়। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড খুব বেশি গ্ল্যামারাস হয়ে যায়, তখন সবাই এটার অংশ পেতে চায় আরকি। আমি চাইবো, অবশ্যই যাদের প্রয়োজনে হবে সঙ্গে নেবো। কিন্তু এটার প্রথম ক্রাইটেরিয়া হবে ক্রিকেট উন্নতি।’

ফারুকের কাছে সবার আগে দেশ। এরপর ক্রিকেট। আর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত বলতে কিছু থাকবে না। তিনি বলেন, ‘সবার আগে আমি যদি চিন্তা করি, আমি বাংলাদেশি এবং পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল- আমার দল তাহলে কিন্তু আমরা অনেক সমস্যা থেকে বের হতে পারবো। তখন এখানে কোনো পার্সোনাল লাইকিং থাকবে না। তখন কোন পার্সোনাল এজেন্ডা থাকবে না। দেখবেন সব ইন প্লেস হবে। তার মানে আমাদের দেশ এবং আমাদের দল সবার আগে। তারপরে ইন্ডিভিজুয়ালগুলো ফিট ইন করবে।’

সর্বশেষ সবাইকে একটা বার্তা পরিষ্কার করে দিলেন ফারুক। কোনো স্বজনপ্রীতি চলবে না। তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিতে চাই- আমি যদি দেশ ও দলের কথা চিন্তা করি, তখন কিন্তু অন্য জায়গাগুলো গৌণ হয়ে যাবে। এ পছন্দের, ও পছন্দের এটা কমে যাবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়