শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:২৬ রাত
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না, বাফুফেতে নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার: সালাউদ্দিন

স্পোর্টস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

দেশে যখনই এমন সরকার ক্ষমতায় আসে তখন রাষ্ট্রের ক্রীড়াঙ্গনেও বদলের হাওয়া লাগে। পূর্বেও এ রকম সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃত্ব থেকে বিদায় নিতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ অথবা সরকার নিয়োগকৃত কর্তাব্যক্তিদের। 

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব আসছে কারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। বিশেষ করে দেশের প্রধান দুই সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পরিচালনায় আসবেন কারা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। চ্যানেল২৪ 

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ বাফুফে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার নেতৃত্বাধীন ফেডারেশনটির নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হতে পারে আগামী ২৬ অক্টোবর। তার আগেই পদত্যাগের জন্য চাপ বাড়ছে তার ওপর। কিন্তু পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ফুটবল-সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে। সংগঠনটি দুই দফায় বাফুফের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও করেছে। রোববার (১১ আগস্ট) সংগঠনটি সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেয়।

তার প্রেক্ষিতে সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি পদত্যাগ করব না। নির্বাচন করবো। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন কীভাবে? ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সালাউদ্দিন আরও বলেন, হ্যাঁ, অন্তর্বর্তী সরকার বললে আমি ব্যাপারটা ভেবে দেখতাম। কিন্তু কোথা থেকে কিছু ছেলেপেলে আমাকে হুমকি দেবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। ওরা (বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস) বলেছে, আমাকে যেখানে পাবে, সেখানেই নাকি মারবে। এটা তো ওরা বলতে পারে না।

ফুটবল আলট্রাসের ফুটবলে অবদান কী, এ প্রশ্ন তুলে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ওরা কারা? ফুটবলে ওদের কী অবদান আছে? ফুটবলের জন্য ওরা কী করেছে। ওরা বলতে পারে নির্বাচন দেন। আমি তো নির্বাচন দিয়ে দিয়েছি। ৩ অক্টোবর আমার কমিটির মেয়াদ শেষ। আমি ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বোর্ড সেটি নিয়ে গেছে ২৬ অক্টাবর। সেই নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এটা কী ধরনের কথা। কোন দেশে এসে পড়লাম আমরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা মেনে নিয়েই তিনি বলেন, হ্যাঁ, গত সরকারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমি কখনো মন্ত্রী, এমপি হতে চেয়েছি? চাইনি। আমার কাছে ঢাকার মেয়র হওয়ার অফার ছিল। কিন্তু আমি হইনি। আমি ফুটবল নিয়েই থাকতে চেয়েছি আর সেটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। আমি প্রথমবার যখন নির্বাচন করি ২০০৮ সালে, তখন তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেছি। বাদল, সালাম, নাবিলরা তো আমার প্যানেলে ছিল না। এভাবে প্রতিবারই আমি ভোটে জিতেছি।

১৫ বছর ধরে কাজী সালাউদ্দিন সাফেরও সভাপতি, সেটাও নির্বাচিত। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ওরা বলছে, আমি এখন পদত্যাগ না করলে ঘোষণা দিতে হবে, যাতে নির্বাচন না করি। এটা তো জোর করা। নির্বাচন করব না, এই প্রতিশ্রুতি জোর করে আপনি আদায় করতে পারেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়