এল আর বাদল: দারুণ একটি দিন পার করলেন পাকিস্তানের স্পোর্টস হিরো আরশাদ নাদিম। প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের পর বদলে গেছে এই ক্রীড়াবিদের জীবন। ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন, পাচ্ছেন স্পন্সরদের ফোন কল। তবে কিছু দিন আগেও ছিল না ক্রীড়া ইভেন্ট জ্যাভলিন থ্রোর জ্যাভলিন কেনার অর্থ। ৪০ বছর পর পাকিস্তানকে স্বর্ণ এনে দেয়ায় তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দিতে চান পাকিস্তানের মানুষ।
চ্যানেল ২৪ জানায়, নাদিম হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার, তবে ভাগ্য, পরিবার আর আর্থিক অনটনের বেড়াজালে লক্ষ্য বদলাতে বাধ্য হন আরশাদ নাদিম। সিদ্ধান্তটা যে ঠিক ছিল সেটাই প্রমাণ করেছেন, প্যারিস অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পাকিস্তানকে প্রথম স্বর্ণ এনে দিয়ে। প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ভালোবাসায় সিক্ত নাদিম।
পাকিস্তানের স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট আরশাদ নাদিম বলেন, আমি ক্রিকেটে ভালো ছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছে অন্য কিছু চেষ্টা করা দরকার। যে সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। এই অর্জনের মূলে আমার কঠিন পরিশ্রম ও কোচের চেষ্টা অপরিসীম।
তার এমন অর্জনে আলোড়িত পুরো পাকিস্তান আনন্দে ভাসছে। তবে এই পথটা ছিল বন্ধুর। লাহোর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের মিয়া চান্নুতে আরশাদের বেড়ে ওঠা। গ্রামের এক হোটেল ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় অ্যাথলেটিক্সে যাত্রা শুরু। জং ধরা, রাস্তার কোণে পড়ে থাকা একটি জ্যাভলিন তার প্রথম সঙ্গী।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মানসিক বিপর্যয়ে টাইগার অলরাউন্ডার, চাইলেন ছুটি
আট ভাই বোনের সংসারে তিন বেলা খাবার জোগান দেয়াই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নত প্রশিক্ষণ, তো স্বপ্ন। প্যারিস অলিম্পিকের আগে জ্যাভলিন পাল্টাতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়েছিল নাদিমকে। সে সময় পাশে পেয়েছিলেন ভারতীয় অ্যাথলেট নীরাজ চোপড়াকে। তার ডাকে সাড়া দিয়ে পিএসএল-এর দল মুলতান সুলতান্স এগিয়ে আসে সহযোগিতা করতে।
আর সাফল্যের পর এখন দৃশ্যপট বদলে গেছে। নাদিমের ছোট্ট বাড়িতে মানুষের ভিড়। সঙ্গে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোরও সারি। আরশাদ নাদিমের ভাই শহীদ নাদিম বলেন, আমরা তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করতে পারিনি। কিন্তু এখন গর্ব হচ্ছে। গ্রামের মানুষ আমাদের বাড়িতে আসছে। তারা তাদের উচ্ছ্বাস আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে।