আহমেদ ফয়সাল: [২] ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ১৭ তম আসরের পর্দা নামবে ইংল্যান্ড ও স্পেনের ফাইনালের মধ্যকর ম্যাচ দিয়ে। এই আসরে প্রথমবার শিরোপা ঘরে তুলতে চাইবে বর্তমান রানার্স-আপ ইংলিশরা। অন্য দিকে রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপার জয়ের অপেক্ষায় আছে স্প্যানিশরা।
[৩] রোববার (১৪ জুলাই) বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টেডিওনে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে স্পেন।
[৪] তিন বছর আগে ইতালির কাছে ফাইনালে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে ট্রফি ঘরে তোলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায় হ্যারিকেন-বেলিংহামদের। এবার সেই ভুল করতে চায় না তারা।
[৫] কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তের তারকা নির্ভর স্পেন দল ও গ্যারেথ সাউথগেটের প্রতিভাবান ইংল্যান্ড কেউ কারো থেকে কম নয়। সেমিফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সকে হারিয়ে স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত টানা দ্বিতীয় ইউরোর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইংল্যান্ড।
[৬] এবারের শিরোপা জিততে পারলেই ইউরোর ইতিহাসে স্পেনই সবচেয়ে সফল দল হিসেবে নাম লেখাবে। এক্ষেত্রে তারা জার্মানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে। জার্মান ও স্প্যানিশরা সর্বোচ্চ ৩টি করে ইউরো কাপ জিতেছে।
[৭] ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয়ের নিজেদের প্রমাণে এবার আর কোনো কার্পন্য করতে চায় না। ইংলিশদের কাঁদিয়ে সেই রেকর্ড গড়তে পুরো স্পেন দল আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে।
[৮] বিদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের সিনিয়র দলটি কখনই বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেনি। নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ ১৯৬৬ সালে জিতেছিল ঘরের মাঠে। তবে ৫৩ বছর বয়সী সাউথগেট যদিও খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে স্পেনকে হারানোর অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যেই সঞ্চয় করেছেন। ১৯৯৬ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের জয়ী দলটির সদস্য ছিলেন সাউথগেট। ২০১৮ সালে নেশন্স লিগে তার অধীনে ইংল্যান্ড ৩-২ গোলে জয়ী হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :