স্পোর্টস ডেস্ক: বাবা ও মাকে আর কষ্ট পেতে দিব না, এখন থেকে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব আমার। কথাগুলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সেন্টার ব্যাক মো. সবুজ হোসেনের।
রোববার (৩ জুলাই) মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে দারুণ এক গোল করেন সাইফের ফুটবলার সবুজ হোসেন। তার গোলেই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতি যায় সাইফ। ম্যাচটি শেষে ৪-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে নেয় তারা।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হাউজিং সি ব্লকের বাসিন্দা নওশের মন্ডল। রিকশা চালিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যের আহারের ব্যবস্থা বছরের পর বছর নিয়ম মেনে যাচ্ছেন। নওশের মন্ডলের ছোট ছেলে সবুজ। ফুটবলের কল্যাণে যিনি আজ সকলের কাছে পরিচিত,সমাদৃত। আবাহনীর জালে কাল গোল দিয়ে সেই পরিচিতির ব্যপ্তিটা আরো চওড়া করেছেন। সবুজরা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই রংমিস্ত্রির কাজ করলেও বাবা নওশের মন্ডল রিকশার প্যাডেল না ঘুরালে সংসারের চাকাটা অচল থাকে সবুজদের।
সাইফের জার্সিতে গত মৌসুম থেকে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন সবুজ। প্রথম বছর লিগে ১২টার মতো ম্যাচ খেললেও সেখানে কোনো গোল ছিল এ ডিফেন্ডারের। গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। চলতি লিগে অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। আবাহনীসহ মোট ৪টি ম্যাচ খেলেছেন। সাইফের নিয়মিত অধিনায়ক রিয়াদুল হাসান রাফির অনুপস্থিতিতে সেরা একাদশে জায়গা মেলে সবুজের। আগের ম্যাচে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় আবাহনী ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন রাফি। বাংলানিউজ ২৪
আপনার মতামত লিখুন :