শিরোনাম
◈ কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু ◈ কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ◈ সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র  সংশোধনে সুখবর ◈ অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ১৫ বিচারকের নথি চেয়েছে দুদক ◈ বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহযোগিতার আশ্বাস কাতার ফাউন্ডেশনের ◈ কাশ্মিরে হামলা: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ ভারতের ◈ আরাকান সদস্যদের ভিডিও পুরোপুরি সত্য নয়, আবার মিথ্যাও নয়: চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাদা সম্মেলন হবে: দোহায় প্রেস সচিব  ◈ ‌জিম্বাবু‌য়ের কা‌ছে টেস্ট হা‌রের দায় একাই নি‌লেন অ‌ধিনায়ক শান্ত  ◈ পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে দোহা থেকে রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, শনিবার হবে শেষকৃত্য

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৫ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

নির্বাচনের জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যে সংস্কারটুকু প্রয়োজন, আমরা সেটুকুই চাই : মির্জা আব্বাস

মনিরুল ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস  বলেছেন,  সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই  চায় বিএনপি। অপ্রয়োজনীয়  ও যেসব সংস্কার দেশের মানুষকে বিপদে ফেলবে সেই সব সংস্কার  চায় না।

তিনি আমরা যদি বিভক্ত হই তাহলে আবারও এ দেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদের হাতে চলে যাবে  বলে মন্তব্য করেছেন। 

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের কৃতিত্বের দাবিদার একা হতে গেলে দেশের ক্ষতি হবে। অভ্যুত্থানের সময় আমাদের অনেক ছেলে নিহত হয়েছে। এতে কি তাদের অবদান ছিল না।

 তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দালালদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনার আশপাশে আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট থেকে সতর্ক থাকুন। তারা আপনাকে ডিরেইল করে ফেলতে পারে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশের একটা অবস্থা এসেছে; নির্বাচন না সংস্কার। তবে আমি বলতে চাই, নির্বাচনের বিকল্প কেবল নির্বাচনই হতে পারে। অন্য কোনো কিছু হতে পারে না। নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। এখন আমি কথা বললেই বলবে যে মির্জা আব্বাস সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলে, সংস্কার চায় না। কিন্তু না, আমাদের জন্য, নির্বাচনের জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যে সংস্কারটুকু প্রয়োজন, আমরা সেটুকুই চাই।

সোশ্যাল একটিভিস্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি একবার বলেছিলাম যে, আপনারা যে সংস্কারের কথা বলছেন সব সংস্কার তো মানা যাবে না। সেই কথাটিকে টুইস্ট করে আমাদের বিদেশে অবস্থানরত তথাকথিত সাংবাদিক এমনভাবে বললো যে বিএনপি সংস্কার চায় না, মির্জা আব্বাস সংস্কার চায় না। এমনকি সালমান এফ রহমানের টাকা খেয়ে যার স্বাস্থ্য-চেহারা মোটা হয়েছে, তিনি প্রায়ই ফেসবুকে এসে বলে কেন মির্জা আব্বাস মানবেন না। আমি বলতে চাই, তোমার যেমন বিদেশে পালিয়ে থেকে কথা বলার অধিকার আছে, আমার কি দেশে থেকে কথা বলার অধিকার নাই?

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই দেশে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে জেলে খেটেছি সহকর্মীদের নিয়ে। পালিয়ে যাইনি। আপনারা তো পালিয়ে গিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলতেছেন। আমি আপনাদের উদ্দেশে সম্মান রেখেই বলতে চাই, যারা দেশের বাইরে আছেন, ইউটিউবার যারা আছেন; ভাই আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব আপনারা দেশে আসেন। আপনাদের অনেক জ্ঞান, অনেক বুদ্ধি। আপনাদের জ্ঞান বুদ্ধি আমাদের অনেক প্রয়োজন। আপনারা দয়া করে দেশে আসেন। বুদ্ধি দেন, কথা বলেন, কাজ করেন, মেনে নেব।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এনসিপির একজন বলে ফেললেন এখন নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ প্রসাশনের সব জায়গায় বিএনপির লোক বসা আছে। আরে ভাই, ১৭ বছর আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করল, আপনি বিএনপির লোক কই পাইলেন আমি বুঝলাম না। এই সমস্ত কথা নেহাতই বাচ্চাদের মতো।’

তিনি বলেন, ‘ইদানিং একটা গ্রুপ ফেসবুকে বলার চেষ্টা করছে যে বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। আরে ভাই ১৭ বছর এদের (আওয়ামী লীগ) যন্ত্রণায় পাগল হয়ে গেছি। পরিবার-পরিজনসহ অশান্তিতে ভুগেছি। বিএনপি অনেকের পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারের কারণে। বরং আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এই দেশে আওয়ামী লীগের অবস্থান থাকতে পারে না। এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীসহ প্রসাশনের ব্যক্তিবর্গ, তাদের সবার বিচার হতে হবে।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়