শিরোনাম
◈ ঐকমত্য কমিশনের সাথে কাল আলোচনায় বসবে এবি পার্টি ◈ ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ   ◈ রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি কোমল পানীয় রাখার অভিযোগে ভাঙচুর ◈ পাল্টা শুল্ক তিন মাস স্থগিতের অনুরোধ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সেই পুলিশ কনস্টেবল পাচ্ছেন ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ ◈ সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাদণ্ড ◈ ১১.৪৪% প্রবৃদ্ধি রপ্তানিতে, মার্চে আয় ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার ◈ ভারতের নতুন ওয়াকফ আইন কেন মুসলিমদের জন্য বিপজ্জনক? ◈ শুল্ক আরোপে মার্কিনীদের স্নিকার্স, জিন্স ও পোশাক কিনতে হবে অনেক বেশি দামে! ◈ নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত, থাকছে না পোস্টার

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী বিল পাস, জামায়াতের প্রতিবাদ

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ব্যাপারে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস ও বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাসকৃত বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণে বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার আরেকটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের দানকৃত মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ ও দখলের পথ তৈরি করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংশোধনী বিলে ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম ২ জন সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হয়ে যাবে, যা মুসলমানদের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয়। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগ্ন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই এই বিল পাশ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতে ২৫ কোটির বেশি মুসলমানের বসবাস। ভারতে হাজার বছরের পুরনো মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নানা কূটকৌশলে ধ্বংস করা হচ্ছে। মুসলমানদের অন্যতম শরীয়তের বিধান ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাভ ম্যারিজের নামে ধর্মান্তর প্রক্রিয়াকে সীমিত করা হয়েছে। গরুর গোশত রাখার অযুহাতে মুসলমানদের প্রায়ই পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতের বিজিপি সরকারের এসব কর্মকান্ডই প্রমাণ করা তারা চরম মুসলিম বিদ্বেষী।

আমরা ভারতের বিজিপি সরকারকে এসব মুসলিম বিদ্বেষী অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা ভারতের মুসলমানদের জীবন, সহায়-সম্পত্তিসহ সকল স্বার্থরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়