সেনা সদরে বৈঠক নিয়ে এনসিপিতে কোনো মতবিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানান তিনি।
এসময় অন্য নেতারা জানান, শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য ঘিরে তৃণমূলে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও তা নিয়ে অস্বস্তি নেই। বরং গণতান্ত্রিক দল হিসেবে এনসিপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সারজিস আলম এসময় বলেন, সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এনসিপিতে কোনো মতানৈক্য নেই।
এসময় দলের আরেক নেতা সারোয়ার তুষার জানান শীর্ষ নেতাদের মত দ্বিমত থাকবে এটাই দলের গণতান্ত্রিক চর্চা। দলের অন্য নেতারা বলছেন, এমন ইস্যুতে ভবিষ্যতে দলের শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক বয়ানে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) পঞ্চগড়ে এনসিপির পথসভায় গুজবকে ব্যাধি উল্লেখ করে সারজিস আলম আরও বলেন, গুজববিরোধী সেল তৈরির জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে, সেনাবাহিনীকে নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া পোস্টের দ্বিমত জানিয়ে রোববার (২৩ মার্চ) ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট করেন সারজিস আলম। সেই পোস্টের কিছু কিছু অংশে দ্বিমত জানিয়ে সারজিস আলম তার পোস্টে লেখেন, ‘যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা তার স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে সারজিস বলেন, ‘সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য নেই। রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ বা অন্য নামে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার গল্প সেনাবাহিনীসহ অন্য কেউ যাতে না শোনায়।’
যদিও সম্প্রতি সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্টাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন ভারতের পরিকল্পনায় রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে দলটিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা হচ্ছে। যা নিয়ে সেনা প্রধানের সাথে তার দ্বিমত রয়েছে।
একে ঘিরে রাজনীতির উত্তাপ থামাতে গিয়ে কিছুটা আলাদা বয়ান দেন সারজিস-হান্নান মাসুদ-নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে দল পূর্ব থেকে না জানলেও পরে তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। নেতাদের এমন পাল্টাপাল্টি মন্তব্য দলের মধ্যে বিরোধ তৈরি করছে কিনা উঠছে এমন প্রশ্ন। উৎস: চ্যানেল২৪