ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় গ্রেপ্তার করাকে ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখছেন নাইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে পবিত্র রমজান উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী তালিম-তারবিয়াতের কার্যক্রমে আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘রমজান মাসের মূল শিক্ষা হলো আল্লাহ-ভীতি অর্জন করা। মানুষের জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহ-ভীতি অর্জন করতে পারলে এ ধরনের মানুষ দ্বারাই কেবল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় না থাকায় দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। ‘
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনো রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। কোনো প্রকার পাপ কাজে জড়াতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ ভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।’
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘হিজাব নিয়ে নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ- এ কথা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদী শাহবাগীরা মাঠে নেমেছে। রমজান মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান করা ইসলামের বিধি-বিধানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। অপরদিকে, ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় যুবককে গ্রেফতার। এসব খুব ভালো লক্ষণ নয়।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা ফেল করানোর হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা, শ্রেণিকক্ষে শত শিক্ষার্থীর সামনে পর্দার কারণে মেয়েদের হয়রানি করা, ভাইভা বোর্ড থেকে পর্দাশীল প্রার্থীদের গালি দিয়ে কাঁদিয়ে বের করে দেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনায় কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কথিত এসব নারী স্বাধীনতাকামীদের। তাহলে পর্দা করতে বললে দোষ হবে কেন? রমজানের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ তো নেই-ই, এখন তথাকথিত নারীরা ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছে।’
আলোচনায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।