শিরোনাম
◈ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হয়েও দুবাইতে খেলতে যাওয়ায় ঠাট্টা ও বিদ্রুপের শিকার পাকিস্তান ◈ শেখ হাসিনাকে ৩ বছর আগেই সতর্ক করেছিলাম, আমার কথা রাখলে এভাবে পালাতে হতো না: কর্ণেল অলি ◈ সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হলো আউটসোর্সিংকর্মীদের ◈ পাকিস্তানে স্টেডিয়াম হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান মহারণ রোববার ◈ 'ভারত কিছু একটা করবে' এই ভরসায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ◈ চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ গ্রেফতার ৩  ◈ নেতা–কর্মীদের ‘বিশেষ’ তালিকা করছে পুলিশ. অনেকের জামিনে সরকারের উচ্চমহলে উদ্বেগ ◈ সেনাবাহিনীতে বিশেষ পেশায় জনবল নিয়োগ ◈ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:৩৬ বিকাল
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাষা আন্দোলনটা দারুণ বিকৃতির কবলে পড়েছে: জামায়াত আমির (ভিডিও)

দেশের ভাষা আন্দোলন ‘দারুণ বিকৃতির’ কবলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা চাই সঠিক ইতিহাস উজ্জ্বল হয়ে থাকুক। কারো দ্বারা এটা যেন ম্লান না হয়, অপদস্থ না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, অপমানিত না হয় কিংবা বিকৃত না হয়। কিন্তু ভাষা আন্দোলন দারুণ বিকৃতির কবলে পড়েছে।”

“অধ্যাপক গোলাম আজম সাহেবের যতটুকু অংশ, তাকে এতটুকু দিতে অসুবিধা কী? বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী যিনি ভাষা আন্দোলনের স্মারকের ড্রাফট করেছিলেন; তাকে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না কেন?”

জামায়াতের আমির প্রশ্ন তোলেন, “তমুদ্দুন মজলিশ নামে যে সংগঠন এই আন্দোলনের সূচনা করল, তারা ইতিহাস থেকে বিলীন কেন? যার যেখানে জায়গা, তাকে সেখানে জায়গা করে দিতে হবে। তাহলেই এই জাতির মধ্যে বার বার বীর জন্ম নেবে।”

শফিকুর রহমান বলেন, “ইতিহাস কোনো দলের নয়; ইতিহাস একটা জাতির হয়। আমরা আমাদের বীরদের জাতীয় স্বীকৃতি দিয়ে শ্রদ্ধার চূড়ান্ত আসনে রাখতে চাই।

“আমরা আহ্বান জানিয়েছি, আমরা যতটুকু পারি চেষ্টা করেছি, জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সরকারও যেন কাজটা করেন আরও সুন্দরভাবে। অন্যান্য যে দল আছে, সংস্থা আছে, তারাও যেন এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করেন আরও সুন্দরভাবে।”

তিনি বলেন, “একুশ আমাদেরকে যে সবক দিয়ে দিয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে- যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিরোধ। এটা যার আমলেই হোক, প্রতিবাদ করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

“আশা করব অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারা এগিয়ে আসবেন। সবাই এলে আমরা মহাখুশি। কেউ না এলে আমরা একাই দাঁড়িয়ে যাব ইনশাল্লাহ।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

‘স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই’

শফিকুর রহমান বলেন, “গতকাল আমি গভীর বেদনা থেকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। বিগত সরকার এই জাতির প্রত্যেক নাগরিককে, শুধু তাদের গোষ্ঠী ছাড়া, জুলুম করেছে। এই জুলুমের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

“দল হিসেবে সবার আগে জামায়াতের ওপর জুলুম শুরু হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে সবার ওপর হয়েছে; কেউ বাদ যায়নি। যাদের উপরেই জুলুম হয়েছ; আমরা সকলে মজলুম। সেই মজলুমরা মিলে-মিশে একাকার হয়ে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ২০১১ সালে, সেই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় আমাদের সন্তানদের হাতে এসে ২০২৪ সালে।”

তিনি বলেন, “এই অধ্যায় অবসান হওয়ার পর বাংলাদেশে এখন আবার কারো ওপরে যদি জুলুম করা হয়, এটা জাতি মেনে নেবে? আমাদের দায়িত্বশীল লোকগুলোকে শতভাগ অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে একটা কোর্ট বসিয়ে, যাদেরকে জুডিশিয়ালি মার্ডার করা হয়েছে, তাদের জীবন কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারবে?”

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিও জানান জামায়াতের আমির।

“একজন আল্লাহর বান্দা বেঁচে আছেন। আজ কোর্ট পরিবর্তনের ছয়টি মাসের বেশি হয়ে গেল; সপ্তম মাসে আমরা পড়েছি; এখন পর্যন্ত কেন তাকে বন্দি অবস্থায় থাকতে হবে। যাদের ওপর জুলুম বেশি করা হয়েছে তাদের একজন কেন জেলের ভেতরে থাকবেন?”

তিনি বলেন, “মনের এই কষ্ট থেকে আমি বলেছি যে, আমার এখন বাইরে থাকার কোনো সার্থকতা নেই। আমি নিজেও এখন এর প্রতিবাদে জেলে যেতে চাই, আমি স্বেচ্ছায় যাব, সরকার যেন আমাকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।”

“আমার ভাইয়েরা বলেছেন, আপনাকে আমরা একা ছাড়ব না, লাখো কর্মী সঙ্গ দেব। আমি ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বলতে চাই, লাখো নয়, আমি একাই যথেষ্ট।”

‘আমরা কারো দাবার গুটি হব না’

শফিকুর রহমান বলেন, “এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে, অনেক ধৈর্য ধরছেন, আরেকটু ধরুন। আমরা সড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই না। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কেউ যদি খেলেন, তাহলে আমরা কারো দাবার গুটি হব না।

“কেউ আমাদের সঙ্গে খেলবেন, এটা পছন্দ করি না। শুধু আমাদের সঙ্গে না, দেশের একজন নাগরিকের সঙ্গেও কেউ যেন খেলাধুলা না করেন। আমরা ফ্যাসিস্ট আমলে বার বার একটা কথা শুনতাম- খেলা হবে। ওই খেলা আর দেখতে চাই না।”

এদিন একই উপলক্ষে একই সময়ে কাকরাইলে আলোচনা সভা করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত। সেখানে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও নায়েবে আমির গোলাম মোস্তফাও বক্তব্য রাখেন। উৎস: বিডিনিউজ২৪ ও চ্যানেল২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়