শিরোনাম
◈ রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিন আসামি (ভিডিও) ◈ 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি', নেতাদের এমন মন্তব্যে যা জানালো বিএনপি (ভিডিও) ◈ ঢাকার কাঁধে আন্দোলনের চাপ, হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় ১৮০ আন্দোলন ◈ ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ◈ শিক্ষার্থীরা শিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভীত-সন্ত্রস্ত, কখন না জানি রগ কেটে দেয় : ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ◈ দুর্ঘটনার শিকার সৌরভ গাঙ্গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য ◈ বিকেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান মুখোমুখি ◈ পরিত্যক্ত গণভবনে যেসব গোপন নথি পাওয়া গেল! (ভিডিও) ◈ শুধু খেলতে আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি  জিততে চাই: হাশমতউল্লাহ ◈ ইসরাইলে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক!

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মহসিন কবির

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, সংঘাত, কোন দিকে দেশ?

মহসিন কবির: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের সংঘর্ষের পর কুয়েট বন্ধ ঘোষণা। কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। থমথমে কুয়েট, রামদা হাতে ভাইরাল যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে সংঘর্ষ চলতে থাকলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিবে। যা দেশের জন্য ভালো হকে না। সংঘর্ষ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে সেটা হবে আরও ভয়াবহ। সরকারের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দুপক্ষকেই শান্ত থাকা উচিৎ দেশের স্বর্থে। 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, খুলনা ও কুয়েটের কিছু মানুষরূপী কুকুরের কামড়া-কামড়ি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মসূচি থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করল।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ভাষাগত নিয়ন্ত্রণ পুরা না হারিয়ে বলতে চাই খুলনা ও কুয়েটের কিছু কুকুর সমতুল্য দুর্বৃত্তের কারণে বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আন্দোলন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে তিস্তা বেষ্টিত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার এগারোটি স্থানে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি থেকে জাতীয় পর্যায়ে যে জাগরণ সৃষ্টি হওয়ার উচিত ছিল, সেটিকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।’

পোস্টে ইশরাক লেখেন, ‘ভারতের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের কারণে কয়েক দশক ধরে দুই কোটি জনগণের আহাজারি নিরসনের এই কর্মসূচি কয়েকটি মানুষরূপী কুকুরের কামড়া-কামড়িতে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করল।’

হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের দাবি, তাদের ওপর  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীার আগে হামলা করেছে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন তাদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। 

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আপাতত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। আগে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে।

এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, যদি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি দিলো কিভাবে। এ প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। 

এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এছাড়া, জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।

এর আগে, ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাসহ ৬ দফা দাবি মেনে নিতে বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন তারা।

১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এজন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’। তবে ছাত্রদল পাল্টা দায়ী করেছে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।  

১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে শুরু হওয়া ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা বিকেল পর্যন্ত চলে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ করা হয়।  

এর প্রতিক্রিয়ায়, আজ অন্য একটি ছাত্র গোষ্ঠী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র রাজনীতির নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার দাবিতে মিছিল বের করে।  
মিছিল চলাকালীন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমর্থকদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ওই শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পলাশী, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বকশীবাজার ঘুরে আবার বুয়েট শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েটের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু ওবায়দা ও আরাফাত সাকিব।

লিখিত বক্তব্যে আরাফাত সাকিব বলেন, ‘আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার কণ্ঠে ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশকে আরেকটি নৈরাজ্যপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হতে আমরা দেব না। হাজারো শহীদের রক্তস্নাত এই ফ্যাসিস্টমুক্ত স্বাধীন দেশে ফ্যাসিস্টদের পুরোনো পদচারণ আমরা মেনে নেব না। কুয়েটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একান্তই কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের, কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসীর না।’

আর আবু ওবায়দা বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কোনো হামলাকারী ছাড় পেলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সাথে অবমাননা।’

এ সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধীদের ব্যানারে বের করা মিছিল থেকে প্রথমে আক্রমণ করা হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে কুয়েট এলাকার রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতা–কর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ক্যাম্পাস সূত্র ও  প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। গতকাল সোমবার তারা ক্যাম্পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ছাত্র হলগুলোর সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিতে দেখা যায়।

সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ৭৪ সদস্যের নতুন কমিটি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত কমিটি  ৭ জানুয়ারি সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে প্রকাশ করা হয়।

কমিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুককে আহ্বায়ক ও ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে ওবায়দুল্লাহকে। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মুশফিক মাহমুদ ফয়সাল, রাইয়ান শারিকুল, মোহন, সাজ্জাদ হোসেন ফরহাদ, হিমেল, আরাফ, মেহেদী হাসান জীবন, শোভন রায়, শাহানা আক্তার, মো. আশিকুল ইসলাম, এনায়েতুল্লাহ বাবু, তাকিয়া তাশবিহ, সৈয়েদ মো. আবু হাসান খালিদ ও সুমাইয়া তাসনিম।

কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়েছে গোফরান বান্নাকে। যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়েছে আকিবুর রাহাত, তারভীর আহমেদ, রাফি আহমেদ, সালেহ মুনাওয়ার, আব্দুল্লাহ আল সৈকত, শেখ ইয়াসিন রেদওয়ান, এস এম আফিফ সারওয়াত, উম্মে সুমাইয়া তানিশা, মোস্তাফিজুর রহমান, ঈসা আনসারী ও লাইবা তাফাল্লুম।

কমিটির মুখ্য সংগঠক করা হলেছে সাদাত তানভীর মাহিমকে। সংগঠকরা হলেন সাগর হোসাইন, গালিব রাহাত, মো. মারুফ মিয়া, তারিক আনাম তন্ময়, মো. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাসরিন সুলতানা পিয়া। মুখপাত্র করা হয়েছে শেখ মুজাহিদকে।

কমিটির সদস্যরা হলেন সৌরভ শীল, মো. ফজলে রাব্বী, মুশফিক আজাদ, আল শাহরিয়ার অস্ত্র, জিহাদুল ইসলাম নোয়েল, সাফতি আনসারী, আতিকুল ইসলাম আতিক, লাবিব, জেরিন রেজা, মো. আজমাইন ইশরাক অর্নব, রওশন বেগম আফসারা, রাইসুল মাহদি, নূর মোহাম্মদ, মেহেদী হাসান নিলয়, সিয়াম, মেজবাউল মোকাররবিন সিহাব, আব্দুল্লাহ শেখ, জায়েদ বিন করিম নিঝুম, মো. আজওয়াদ আবেদীন মিঞা, আব্দুর রহমান কাইফ, মো. আব্দুর রহিম মৃধা, সার্দিল মাহমুদ অর্পন, মো. আবুদারদা অংকন, শেখ শাকিব আল মামুন, নাজমুল, শাকিবুল হাসান, আশরাফুর রহমান নিহাদ, সালেহ সাদিদ মীর, ফারিহা কামাল, মোহাম্মদ সাজিদুল ইসলাম, মো. সিয়াম হাসান, তারিফ ভূঁইয়া, খালেদ হাসান, আদনান খন্দকার, মো. আশিক হাসান, রাকিব রহমান ও মো. জাহিদুল ইসলাম।

এর আগে গত ১১ আগস্ট কুয়েটের সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আনিসুর রহমান ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনৈতিক সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে ছাত্রদেরও রাজনৈতিক সংগঠনে সম্পৃক্ততা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়