✖

মনিরুল ইসলাম: বিএনপির মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারে থেকে ‘কতিপয় উপদেষ্টা’ নতুন দল গঠনের কৌশল নিচ্ছেন। 

বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা তাকে সমর্থন দিয়েছি… তারা চেষ্টা করছেন অতিদ্রুত কিছু কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে, আদৌও নির্বাচনের ব্যাপারে এরা আন্তরিক কিনা। গতকাল আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন যে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা যিনি আছেন তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়….. স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গতকালকে যে কথাটা বলেছেন, ইট ইজ ডেসজারাস। তার মানে কি আমরা এটা মনে করব যে, তারা সরকারে থেকে তাদের দলগুছানোর জন্য তারা বিভিন্ন রকম কৌশল নিচ্ছেন। সেই কৌশল নিলে আমরা তা হতে দেবো না, এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।

তিনি  বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করেই বলছি, অবশ্যই নতুন যথন রাজনৈতিক দল গঠন হবে তাকে আমরা স্বাগত জানাব।ছাত্র সংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখন দল তৈরি করবেন আমরা স্বাগত জানাব।তার মানে এই নয় যে, আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনারা দল গঠন করবেন। সেটা কখনই মেনে নেয়া হবে না, জনগন মেনে নেবে না।

‘এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমি অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং সরকার প্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে জনগনের যে আস্থা আপনাদের ওপরে আছে সেই আস্থাও থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘ আমি যখন প্রথম বলেছিলাম যদি এই অন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেনো বলেছিলাম তা এখন প্রমাণ হচ্ছে। তখন একজন(উপদেষ্টা) বলেছিলেন আমি একটি এক এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক এগারোর ভুক্তভোগী, এক এগারো যারা সৃষ্টি করেছিলো তারা টিকতে পারেনি জনগনের কাছে।

তিনি বলেন, আবারো হুশিয়ার করে বলতে দিতে চাই, যদি আবার কেউ সেই এক এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে আবার এক দলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান তাহলে কখনোই জনগন তা মেনে নেবে না।

রাজধানীর ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তি বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্র দল ঢাকা মহানগরের সদস্য সংগ্রহ, ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কার্য্ক্রমে নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফরম বিতরণ করে উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এই লড়াইটা আমরা এখন একটা ক্রান্তিকালের লড়াইয়ে এসে পৌঁছেছি। এই লড়াইয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধরয্য, টলারেন্স এবং মেধার চর্চা করা। আর সাইবার ওয়্যার, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে।”

ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপি আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিনের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের মোস্তফা জামান, ছাত্র দলের পূর্বের সভাপতি সোহাগ ভুঁইয়া, উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিনের সভাপতি শামীম মাহমুদ ও পশ্চিমের সভাপতি রবির খান বক্তব্য রাখেন।