শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সহিংস পন্থা বেছে নেন হাসিনা

বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি করা এ প্রতিবেদন গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। ১১৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও নির্বিচার গুলির একাধিক বড় অভিযান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তদারকিতে হয়েছে। এতে দেড় মাসে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আর নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশই শিশু। স্বৈরাচারী সরকার নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে যুক্ত করে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা কীভাবে একাধিক বৃহৎ আকারের অভিযানের নির্দেশনা দেন ও তদারকি করেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন বিক্ষোভ দমনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সূত্র; যেখানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছিল বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছিল। নিরাপত্তা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এবং অবৈধভাবে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বা পঙ্গু করার সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে এমন ঘটনাও ছিল, যেখানে একদম সামনে থেকে গুলি করা হয়েছিল।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) তদন্ত দল। জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান ররি মুনগোভেনের নেতৃত্বে ওই তদন্ত দলে মানবাধিকার অনুসন্ধানকারী, একজন ফরেনসিক চিকিৎসক এবং একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

জাতিসংঘ বলছে, প্রাণঘাতী ঘটনাগুলোর বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এ তদন্তে সহযোগিতা করেছে, প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিয়েছে এবং নথিপত্র সরবরাহ করেছে। সংগৃহীত সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং মুক্তভাবে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে যে সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায়গুলো ব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িয়ে পড়ে।

ভয়াবহ নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন : প্রতিবেদনে বলা হয়, ওএইচসিএইচআর যৌক্তিক কারণে মনে করে যে বিক্ষোভ ও ভিন্নমত দমনের কৌশল হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে। এসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকেও উদ্বেগজনক। তাই কোন মাত্রার মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং নির্যাতন (স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে) ও দেশীয় আইনের অধীন গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা মূল্যায়নের জন্য অতিরিক্ত ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

বিভিন্ন ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া’ মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে ধারণা দেওয়া হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহৃত প্রাণঘাতী অস্ত্র, সামরিক রাইফেল এবং শটগানের গুলিতে নিহত হন। হাজার হাজার মানুষ সে সময় গুরুতরভাবে আহত হন। পুলিশ ও র?্যাবের দেওয়া তথ্য অনুসারে ১১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে তখন গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়। এ ছাড়া পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও শিশুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। শিশুরা হত্যা, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পঙ্গু, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিক পরিস্থিতিতে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের বিরূপ আচরণের শিকার হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বলছে, বিক্ষোভে প্রথম দিকের অগ্রভাগে থাকার কারণে নারী ও মেয়েরাও নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার শিকার হন। তারা বিশেষভাবে ‘যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার’ শিকার হন। যার মধ্যে রয়েছে শারীরিক সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি। কিছু নথিভুক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে যৌন নির্যাতনের তথ্যও এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণ নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন করার জন্য ব্যাপকভিত্তিক আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর নির্ভর করেছিল। এমন নিপীড়নমূলক পরিস্থিতির কারণে বিরোধীরাও সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রতিবাদ সহিংসতার দিকে ধাবিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকার সে সময় বিভিন্ন বাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্রকে কীভাবে ব্যবহার করেছে, সেই বিবরণও এসেছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা শাখা বন্দিদের কাছ থেকে তথ্য ও স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নিয়মিত ও নির্বিচারে আটক ও নির্যাতনের আশ্রয় নেয়। সিটিটিসির সদর দপ্তর বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোয়েন্দা পুলিশ এবং ডিজিএফআই যৌথভাবে ছাত্রনেতাদের সেখানে আটকে রেখে আন্দোলন থেকে সরে আসতে চাপ দেয়। ডিজিএফআই, এনএসআই ও গোয়েন্দা পুলিশ আহতদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসাসেবা বাধাগ্রস্ত করে, হাসপাতালে রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ, আহত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং চিকিৎসাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখায়। এ পরিস্থিতি আইন সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষ বা বিচার বিভাগ এমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যাতে নির্বিচারে আটক ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ করা যায়।

আন্দোলন দমনে কোর কমিটির মাধ্যমে নৃশংসতার নির্দেশনা : প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী, সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষকর্তার সমন্বয়ে গঠিত ‘কোর কমিটি’র সঙ্গে ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্দোলন দমাতে নানা পরামর্শ, বাহিনী মোতায়েনসহ অন্যান্য নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে পাঠাত কোর কমিটি। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি জড়িত ছিলেন। মধ্য জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ শাখা, ডিজিএফআই ও এনএসআইর প্রধানদের কাছ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি প্রতিবেদন পেতেন। ২১ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে সাবধান করা হয়। একই ধরনের উদ্বেগের কথা আগস্টের শুরুতেও তাকে জানানো হয়েছিল। ২৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আন্দোলনের আদ্যোপান্ত প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়। আর আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা সরাসরি ও টেলিফোনে নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযান পর্যবেক্ষণ করতেন।

সরকার পরিবর্তনের পরও মানবাধিকার লঙ্ঘন : সরকার পরিবর্তনের পরও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো না থামার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে মানবাধিকার হাই কমিশন। সাবেক সরকার যখন দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছিল, সেই সময় সংঘটিত ‘প্রতিশোধমূলক হত্যাকা-’ এবং আওয়ামী লীগকর্মী ও সমর্থকদের, পুলিশ এবং মিডিয়াকে লক্ষ্য করে করা অন্যান্য গুরুতর প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ঘটনাগুলোও নথিভুক্ত করা হয়েছে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে। জাতিসংঘ বলছে, হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর আদিবাসী জনগণও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। যদিও বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের সাথে সম্পর্কিত প্রায় ১০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, তবে অনেক প্রতিশোধমূলক সহিংসতা এবং এসব গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের পরেও অপরাধীরা এখনও দায়মুক্তি উপভোগ করছে। প্রতিবেদনে বিস্তারিত পরিসরে কিছু সুপারিশ এসেছে, যেমন নিরাপত্তা ও বিচার খাতের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রণীত দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসনৎব্যবস্থায় বৃহত্তর পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা ।

সংস্কারসহ বিভিন্ন সুপারিশ : প্রতিবেদনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়। সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা বা মানবাধিকারকর্মীকে যাতে অবাধে গ্রেপ্তার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে মত দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সমাজের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অবৈধ নজরদারি এখনই বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের আইন সংশোধনের পাশাপাশি বাহিনীগুলোকে মানবাধিকার চর্চা ও শিক্ষার সুপারিশ দিয়েছে। পুলিশ কোন ক্ষেত্রে কতটুকু বলপ্রয়োগ করতে পারবে, তার মাত্রা নির্ধারণসহ সার্বিক সংস্কারে মত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আইনি কাঠামোর সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে, যেখানে স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত এবং মৃত্যুদ- বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আরও স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার এবং স্পষ্টভাবে নজরদারি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে দেশের ভেতরে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সময় তা বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হলে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফেরার পথ রুদ্ধ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ভোটারকে ভোটাধিকার চর্চা থেকে বঞ্চিত করা হবে।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, আন্দোলন দমাতে নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যারা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল। বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং টার্গেট করে হত্যার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধের পর্যায়েও পড়তে পারে। জাতীয় ক্ষত উপশম এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এসব ঘটনার দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচার অপরিহার্য।

প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাল সরকার : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগ যে দমন-নিপীড়ন ও হত্যাকা- চালিয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ওএইচসিএইচআরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লখ করে ড. ইউনূস বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত সবাইকে আহ্বান জানাই, আপনারা ন্যায়বিচার, আইন এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখুন। যারা আইন ভঙ্গ করেছেন এবং মানুষের মানবিক ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়