শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:৩৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমরা সকলে সহমর্মিতার সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা মেজরিটি-মাইনরিটি মানি না। মর্যাদার দিক থেকে এই দেশে বসবাসকারী সকলেই সমান মর্যাদার দাবিদার। আমরা সকলে সহমর্মিতার সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই।’

আজ শনিবার দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নারী সমাজকে বলে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এখন তারা সবই করে, করবে। তখন আরও দুটি অধিকার নিশ্চিত করা হবে—নিরাপত্তা ও মর্যাদা। তরুণ সমাজকে বোঝানো হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। এখন তারা বুঝে গেছে। তাদের গালি দিয়েছিল, এর জবাব পেয়ে গেছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সব খুনের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজ, ঘুষখোরদের বিচার না হলে এগুলো বন্ধ হবে না। আবার বিচার করতে গিয়ে অবিচার হোক তাও চাই না।’

ডা. শফিক বলেন, ‘আমরা তরুণদের সঙ্গে আছি। তোমাদের শ্রদ্ধা করি। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই। মরার আগে দেখে যেতে চাই, আমার বাংলাদেশ একটি মানবিক বাংলাদেশ। মানবিক দেশ গঠনে আপনাদের পাশে চাই। শান্তি, সাম্য ও মানবতার আবেদন নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন। সেই আহ্বান জানাই।’

সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার লড়াই আর মজলুমানের চোখের পানির ফোঁটার কারণেই এই নতুন দেশ পেয়েছি। বন্ধুদের আহ্বান জানাই, এমন কথা না বলি, এমন আচরণ না করি, আমাদের সন্তানেরা যেন মনে কষ্ট না পায়।’

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে পাতানো আদালতে বানানো সাক্ষী দিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। যারা খুন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত, তারাই এই মানুষগুলোকে সহ্য করেনি। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন আল্লাহকে ভয় করে বলেই তাঁরা এসব কুকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, দল ক্ষমতা থেকে চলে গেলে ৫ লাখ মানুষকে হত্যা করা হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতো নয়।’

বর্তমান সরকারের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা সংস্কারের কথা বলেন, ৫৪ বছরে যারা নির্যাতিত হয়েছে, সেই নির্যাতনকারীদের নামের কালো তালিকা প্রকাশ করে দিন।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান। জেলা সেক্রেটারি ড. এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ সুমন পাটোয়ারির বাবা মো. ফারুক হোসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন, নিতাই চন্দ্র দেবনাথ ও অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার। উৎস: আজকের পত্রিকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়