শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ফের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়ার তথ্যটি সঠিক নয়: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ◈ পারভেজ হত্যায় আলোচিত সেই দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার ◈ মানুষের জীবন বিপন্ন করে দাবি আদায়ের শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের: সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন (ভিডিও) ◈ বিচার বিভাগসহ চার ইস্যুতে বিএনপি-জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ বিরলে কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর থানায় হত্যা মামলা ◈ ফ্লোরিডায় উড্ডয়নের আগেই প্লেনে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২৮২ যাত্রী (ভিডিও) ◈ পরীক্ষাকেন্দ্রে হট্টগোল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি!

প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:১১ রাত
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বৈরাচারী শাসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেয়নি: ফেসবুকে মাহী বি চৌধুরী

আগামীকাল মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বহুল প্রতীক্ষিত যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার মুহূর্তে তার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে আরোগ্য কামনা করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরী। 

একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা বিলম্বিত এবং স্বজনদের কাছ থেকে দূরে রাখার পেছনে ‘পূর্ববর্তী স্বৈরশাসন দায়ী’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যও। মাহী নিজেও ছিলেন দলটির সংসদ সদস্য।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহী বি চৌধুরী। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নৌকার কাছে ৭৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি। 

শেষ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের দুটিতেই অংশ নেন মাহী।  যা নিয়ে একসময়ের জাতীয়তাবাদী আদর্শে রাজনীতি করা মাহী বি চৌধুরী ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনার জন্ম দেন।  

সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট বিএনপির নেতাকর্মীদের রোষে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে পারেনননি মাহী।  পরে গত ২৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া ছিল ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মাহী বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য অচিরেই লন্ডন যাচ্ছেন। অতীতের সকল রাজনৈতিক পার্থক্য ও ভুল–বোঝাবুঝি সত্ত্বেও এই পুনর্মিলনের আনন্দে আমার হৃদয় এক অনির্বচনীয় শান্তি ও তৃপ্তিতে ভরে উঠেছে। কিছু সময়ের মধ্যেই একটি মায়ের সঙ্গে তার সন্তানের পুনর্মিলন, একজন দয়ালু দাদির সঙ্গে তাঁর আদরের নাতনি ও পুত্রবধূর পুনর্মিলন ঘটতে যাচ্ছে। আমি কল্পনা করে আনন্দিত হই, তাদের প্রথম পারিবারিক নৈশভোজ, যেখানে হাসি-আনন্দ, গল্প আর স্মৃতিচারণায় মুখরিত হবে তাদের পরিবেশ।’

 ‘গত বছরের ৫ অক্টোবর আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার কষ্ট আর অসুস্থতার মুহূর্তগুলোতে আমরা দেখেছি। আমার আর বোনদের উপস্থিতি তাঁর মুখে হাসি এনে দিয়েছে। আমার মা এবং তাঁর নাতি-নাতনিদের সান্নিধ্যে তিনি বার্ধক্য জয় করে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতেন কখনো তাঁর প্রিয় গান গেয়ে, কখনো প্রিয় কবিতা আবৃত্তি করে।’

মাহী আরও লেখেন, তার জীবনের বড় বড় অর্জনের চেয়ে পরিবারের এসব সাধারণ মুহূর্তই তাঁকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ করে তুলত।

পোস্টের শেষ দিকে মাহী বি চৌধুরী লেখেন, ‘এমতাবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন তার পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি হৃদয়বিদারক। পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিহিংসার কারণে তার এই বিচ্ছিন্নতা দুঃখজনক। রাজনীতি হয়তো আমাদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করেন এবং তাঁকে তার প্রিয়জনদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে ভরা প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ দেন।’

শেষে ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা’ আরবি ও বাংলায় পবিত্র কোরআন শরিফের আয়াতটি উদ্ধৃত করেন।  যার অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি তাদের (মাতা ও পিতার) প্রতি রহম (দয়া) করুন, যে রকম তারা আমাকে শিশুকালে (মায়া-মমতা ও স্নেহপরায়ণ আচরণ দ্বারা) লালন–পালন করেছেন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়