ডেস্ক রিপোর্ট : জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, শহীদ সিরাজ সিকদারকে হত্যার পরে শেখ মুজিবের পতন থেকে শেখ হাসিনা শিক্ষা নিতে পারে নাই। পিতা শেখ মুজিবের মত কন্যা শেখ হাসিনা একই কায়দায় বিরোধী মতকে হামলা মামলা গুম খুন করে দমন করতে চেয়েছিল। সিরাজ সিকদার থেকে আবু সাইদ হত্যা একই সূত্রে গাথা। আর তাই পিতার মত কন্যারও ৪৯ বছর পরে একই মাসে পতন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি ২৫) শহীদ সিরাজ শিকদারের ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার পতন থেকে সকলের শিক্ষা নিতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ বাংলার পবিত্র মাটিতে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিস্ট হয়ে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরও নির্মম পতন অনিবার্য হয়ে উঠবে। বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে চাইলে বাংলার তৌহিদি জনতা শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার মতই রুখে দাড়াবে ইনশাআল্লাহ।
শহীদ সিরাজ শিকদার স্মরণে রাশেদ প্রধান বলেন, তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বরিশাল অঞ্চলে অসংখ্য সফল হামলা চালিয়ে সিরাজ শিকদারের নেতৃত্বে সর্বহারা পার্টি পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। তিনি পাকিস্তানকে উপনিবেশবাদী, ভারতকে আধিপত্যবাদী এবং আওয়ামী লীগকে ভারতপন্থী আধিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। স্বাধীন বাংলায় মুজিববাদ, রক্ষীবাহিনী এবং বাকশালের বিরুদ্ধে তার অবস্থান বাংলার মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল। আর তাই মুজিববাহিনী এবং রক্ষীবাহিনী সিরাজ সিকদারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এবং শেখ মুজিব জাতীয় সংসদে সিরাজ সিকদার হত্যার উল্লাস প্রকাশ করেছিল। আমরা শহীদ মহান দেশপ্রেমিক শহীদ সিরাজ শিকদারের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাই এবং তার হত্যার বিচার দাবি করি।
শহীদ সিরাজ শিকদারের ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সাংঠনিক সম্পাদক রওশন আলম আকন্দ, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক পাবেল আহমেদ, যুবনেতা আমিনুল ইসলাম, রাকিব হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন প্রমূখ