শিরোনাম
◈ কোচ গি‌লে‌স্পি ও পা‌কিস্তান ক্রিকেট বো‌র্ডের দ্বন্দ্ব আইসিসি পর্যন্ত গড়ালো ◈ ভারতে রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠছে ব্যাগ: প্রিয়াঙ্কার ‘সহানুভূতি’র পাল্টা বাঁশুরির ‘দুর্নীতি’র বার্তা ◈ সড়কে ময়লা ফেলে তীব্র যানজট; বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলন ◈ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি, বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ ◈ দুবাই বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় পাকিস্তানি টিকটকার গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে কাতার, এলএনজি চুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগেও আগ্রহ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ‌লিও‌নেল মেসির আবেগঘন বার্তা ◈ বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংস্কার আলোচনা: প্রতিটি বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, জানালেন আলী রীয়াজ ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১০ রাত
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াতের দোষারোপের রাজনীতি

মহসিন কবির: শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থান দখল ও চাঁদাবাজি নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিছু অভিযোগের ভিক্তিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করাও হয়েছে। এবার জামায়াত নেতাদের দখলের অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে যারা ব্যাংক লুট করেছে, ব্যাংক আত্মসাৎ করেছে, এস আলমদের উত্তরসূরি হিসেবে ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি- ইসলামী ব্যাংক কীভাবে গ্রাস করে নিল একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা। ৫ আগস্টের পরেরদিনই ইসলামী ব্যাংকগুলো কী করে দখল করে নিল, এটি জনগণ দেখেছে।’

জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পাড়া-মহল্লায়, জেলায় জেলায় অনেক টার্মিনাল দখল, সিএনজি স্ট্যান্ড দখল, টেন্ডার ভাগাভাগির মধ্যে আপনাদের লোকরা কি জড়িত নেই? আমি সেই রাজনৈতিক দলটিকে বলতে চাই, নীরবে-নিভৃতে সব অপকর্মের সঙ্গে আপনারা জড়িত। শেখ হাসিনার ব্যাংক আত্মসাতের পর, ৫ আগস্টের পর আপনাদের আত্মসাৎও জনগণ দেখেছে।’

‘আমরা হাসিনার আমলে দেখেছি চাপাতি লিগ, হেলমেট লিগ, বন্দুক লিগ, ক্ষুর লিগ; আবার জনগণ তো এটিও জানে- ক্ষুর পার্টি এবং পায়ের রগ কাটা পার্টি। কারা পায়ের রগ কাটে তাদের চেনে জনগণ।’

দলটির উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনাদের একাত্তরের অর্জন কী? আপনারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘জিয়ারউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই গৌরব- একাত্তরের গৌরব, নব্বইয়ের গৌরব বিএনপির। কারণ সেদিনও আপনারা শেখ হাসিনার সঙ্গে আতাত করে এরশাদের নির্বাচনে গিয়েছিলেন। এটিও জনগণ দেখেছে। তবে ৮৬’র নির্বাচনে বিএনপি যায়নি। কারণ আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, স্বৈরাচারের অধীনে কোনো নির্বাচন করব না।’

তিনি বলেন, ‘মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে ও ভয়ঙ্কর শেখ হাসিনার স্বৈরাচার কায়েমের জন্য এসেছিল, সেদিনও আপনারা নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছিলেন। এটিও জনগণ জানে এবং দেখেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা তো ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করেন। ইসলাম মানে কি বারবার মুনাফেকি করা? ইসলামের মর্মবাণী হচ্ছে, তুমি যে অঙ্গীকার কর, তা রক্ষা করবে। বিএনপি সেই ঐতিহ্যের পতাকা ধারণ করে, যার মধ্যে আছে, জনগণের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র পশ্চাদপসরণ না করা। ৭১ থেকে (২০২৪ সালের) ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনও মাথা নিচু করেনি বিএনপি।’

নিজ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একদল চাঁদাবাজি করে পালিয়েছে। আরেক দল এসে করুক, তা আমরা চাই না। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোর ঈদগাহে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, দেশে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? হাতবদল হয়েছে। এজন্য তো এতো মানুষ শহীদ হননি। আমরা যেন শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি না করি। এসব ঘৃণিত কাজ করলে শহীদের সঙ্গে বেইমানি হবে। আপনারা এই ঘৃণিত কাজ করবেন না। ফুটপাত, হাট-ঘাট, বালুমহাল, জলমহাল দখল, চাঁদাবাজিতে কোনো নেতাকর্মী পা দেবেন না।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি-অপশাসনের বর্ণনা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশ দুঃশাসন ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হলো দুঃশাসন আর দুর্নীতির।

তিনি আরও বলেন, মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী রেজিম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে।

জামায়াতেন আমির বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসীর সেবা করা সুযোগ পেলে এদেশে চাঁদাবাজির অস্তিত্ব থাকবে না। দখলদারের অস্তিত্ব থাকবে না। ঘুষ থাকবে না। আমরা ফ্যাসিবাদ, সাম্রজ্যবাদের প্রশ্রয় দেবে না, এমন জাতি গড়তে চাই।

বিএনপি-জামায়াতকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াতের কারণে তা যদি ব্যত্যয় ঘটে জাতির কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশনে এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

মামুনুল হক আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। সেটা হলো আল্লাহর দ্বীনকে বিজয় করা। এই সংগ্রামে আমরা ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আগামীতে যারা ক্ষমতায় যাবেন, তাদের অনেকেই নির্বাচনের জন্য চাঁদাবাজি করছেন। একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে দু-একজনকে বহিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে।’ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় সংলাপে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফুটপাত, দোকানপাট ও মার্কেটে চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সদর থানার ডিআইটি রোডে এ গণ সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়