শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ড কলেজে শতাব্দীর রীতি: দাস নারীর খুলিতে তৈরি পাত্রে পরিবেশন হতো পানীয়! ◈ বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার ◈ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১০ ◈ আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর হাইকোর্টে জামিন ◈ কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয় ◈ পারভেজ হত্যা: ‘দুই বান্ধবীকে’ খুঁজছে পুলিশ ◈ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: এবার নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ◈ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৩৩ দুপুর
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একই দিনে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দুটি দলই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করার অনুমতি পাওয়ার কথা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে।

এবি পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, তারা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সংগঠনের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের জন্য গত ২ ডিসেম্বর গণপূর্ত বিভাগ থেকে চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র পেয়েছেন। অন্যদিকে খেলাফত মজলিস ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের তৃণমূল সম্মেলনের পোস্টার এবং প্রচারণা শুরু করেছে। তারাও গণপূর্ত বিভাগ থেকে অনুমোদন পাওয়ার দাবি করেছে।

গণপূর্ত বিভাগের সূত্র মতে, এবি পার্টির বরাদ্ধ অনুমোদন করলেও খেলাফত মজলিসকে তারা কোনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবুও খেলাফত মজলিস তাদের অনুষ্ঠানের প্রচারণা শুরু করে, যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবি পার্টি, সিপিবি ও খেলাফত মজলিশ এই তিনটি দল একই দিন একই সময়ে সম্মেলনের আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে কর্তৃপক্ষ এবি পার্টিকে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

আলোচনা সাপেক্ষে সিপিবিকে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৩ জানুয়ারি। কিন্তু যোগাযোগের ঘাটতির কারণে খেলাফত মজলিশকে তারা কোনো চূড়ান্ত বরাদ্ধ দেয়নি। খেলাফত মজলিস চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগেই প্রচার প্রচারণা শুরু করে। 

এদিকে দুটি রাজনৈতিক দল একই দিন একই স্থানে বড় ধরনের সম্মেলন আহ্বান করায় এবং পোস্টার ব্যানারসহ প্রচারণা চালানোয় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আমরা তিন স্তরের নিয়ম মেনে মাঠের বরাদ্দ পেয়েছি এবং চূড়ান্ত বরাদ্দ নিশ্চিত হবার পর সরকারের কোষাগারে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছি। আমাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশ-বিদেশের অতিথিদের টিকেট ও আবাসন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এই ইস্যুতে যে জটিলতার কথা বলা হচ্ছে তার দায় সম্পূর্ণ গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি খুবই অনভিপ্রেত।

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, আমরা গত ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে আবেদন করেছি। গত ২ ডিসেম্বর সব প্রক্রিয়া শেষে আমাদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন শুনছি যে এবি পার্টিকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।যদিও তারা আমাদের ১৫-২০ দিন পর আবেদন করছে। তবে তাদেরকে মাঠের পূর্বাংশ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দুদিন মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে, আমরা তাদের বলেছি আপনারা ২৭ ডিসেম্বর করলে পরদিন আমরা সুন্দরভাবে প্রোগ্রাম করতে পারি।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়