শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৩২ দুপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, হতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী’ (ভিডিও)

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অলি আহমদ বলেন, ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হয় তখন সেটা ছিল বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে; এটা কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছিল না। যেহেতু সেই সময়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল ছিল আওয়ামী লীগ, মানুষ আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী করে।

স্বাভাবিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন তাকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করা হবে এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেই আগ্রহী ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা সেনাবাহিনীতে ছিলাম, আমরা পাকিস্তানিদের ওপর নজর রাখছিলাম। আমরা দেখলাম প্রতিনিয়ত পাকিস্তান থেকে নতুন নতুন সেনাদল, অস্ত্র-গোলাবারুদ আসতে শুরু করেছে। অথচ ১৯৬৫ সালে আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, তখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল।

তখন পাকিস্তান থেকে কোনো সেনাদলও আসেনি, অস্ত্রও আসেনি। তাহলে ’৭১ সালে যেখানে কোনো নতুন সেনার প্রয়োজন নাই, অস্ত্রের প্রয়োজন নাই, সেখানে কেন নতুন সেনা-অস্ত্র আসছে? এতে আমাদের মনে সন্দেহ জাগল যে পাকিস্তানিরা হয়তো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ দেশের মানুষকে দমন করবে। তখন আমি, তৎকালীন মেজর জিয়া ও লে. কর্নেল এম আর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করলাম। এই বিদ্রোহের কথা শেখ মুজিবকে জানালাম।

তাকে বললাম, আপনি যদি আমাদের অনুমতি দেন, তবে অতিসহজে আপনাকে বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিতে পারব।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন নাই। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, আমি এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানের ওপর দায়িত্ব দিতে পারি না। তিনবার তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি, তিনবারই তিনি আমাদের একই জবাব দেন। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম, তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক ঠিক করলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

তিন দিন তিনি বৈঠক করলেন এবং বৈঠক ফলপ্রসূ হলো না। এরপর তিনি বললেন, আগামীকাল থেকে হরতাল। এর আগে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল, তখন আমরা মনে করেছিলাম তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। তবে তিনি স্বাধীনতার আশপাশেও ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি স্বদিচ্ছায় পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করে কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান চলে যান। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই। উৎস: কালের কণ্ঠ ও নিউজ২৪।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়