শিরোনাম
◈ ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ড. ইউনূসের ◈ ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন দল আসতে পারে: সারজিস (ভিডিও) ◈ বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ তাদের দশাও যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়: আশফাক নিপুন ◈ সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়াসহ ১১ দফা দাবি ঢাকা কলেজের ◈ পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি, সেন্ট মার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের ◈ মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের খরচ ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ভারতের উত্তর প্রদেশে ৫১৩ মাদ্রাসা বন্ধ ◈ স্ত্রীকে খুন করে গাড়ির ডিকিতে ভরে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ফেলে এলো স্বামী

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরাই বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন: বলেছেন আইনজীবী লিটন আহমেদ 

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন স্যোশাল মাধ্যমে পরিচিত মুখ ছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন, নানা অসংগতি কিংবা খেলাধুলার খবর সবকিছুই তিনি জানাতেন স্যোশাল মাধ্যমে। বলা চলে তার সঙ্গী ছিল মোবাইল।  কিন্তু কারাগারে থাকার কারণে ব্যারিস্টার সুমনের কাছে নেই মোবাইল। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও পত্রিকা পড়েই কারাগারে সময় কাটছে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের।

বিষয়টি জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার এম লিটন আহমেদ। তিনি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরাই বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন। কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই।

আইনজীবী লিটন আহমেদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সঙ্গে রয়েছেন এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও

জেলে ডিভিশন পেয়েছেন আলোচিত এই ফেসবুক সেলিব্রেটি। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের অ্যাকাউন্টে যেতেন এখন যেটি একেবারেই বন্ধ।

ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, কারাগারে দুইটি জাতীয় পত্রিকা পান সুমন, যার খুঁটিনাটি পড়ে দিন পার করেন তিনি। তবে ব্যারিস্টার সুমন তার সহকর্মীকে বলেন, যেদিন আদালতে তোলা হয় সেদিন মন খারাপ থাকে। কারণ তার হাতে হাতকড়া পড়ানো থেকে শুরু করে কোর্টে নেয়া সেখানে অন্য সহকর্মীদের দেখে আবেগি হয়ে পড়েন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেল জীবন কষ্টের কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার মুখেই কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

সারাদিন কি করেন ব্যারিস্টার সুমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’ ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাটাতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে।

গত ৫ অগাস্টের আগে-পরে যে কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীর দেশ ছাড়ার খবর বেরিয়েছিল তার মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের নামও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকার পতনের প্রায় আড়াই মাস পর ২১ অক্টোবর গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর সেই মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৬ মামলা হয়েছে। উৎস: দেশ রুপান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়