বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশের জবাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বরাবরে জবাব দেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ৫ নভেম্বর ইস্যুকৃত আপনার শোকজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমি পেয়েছি। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও উত্তর দিয়ে বাধিত করছি। কথিত আবেদনকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নোটিশে আমি, আমার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ব্যথিত।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগে উল্লিখিত বিষয়াদি আমি ও আমার পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় করার একটি হীন অপকৌশল বলে মনে করি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি বিগত ১৭ বছর আওয়ামী রোষানলের পরেও দলের হাল ছাড়িনি। সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলের সব কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে মামলা-হামলার শিকার ও শহীদ নেতাকর্মীদের দাফন-কাফন সম্পন্নসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাশে ছিলাম।’
নিজের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নির্যাতন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সর্বজনস্বীকৃত যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জিয়া পরিবারের পরে আমার পরিবারই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে হৃদয়ে ধারণ করে আছি। পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসররা আমাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালানোকে তাদের শেষ অস্ত্র মনে করছি। আমি আপনার মাধ্যমে দলের সব নেতাকর্মীকে আহ্বান করবো যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সদা সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকে।’
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) হেয় কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করা কিংবা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কে বা কারা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলের হাইকমান্ডকে আমি কিংবা আমার পরিবারের বিষয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেছে। আমি সম্পূর্ণভাবে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।’
এর আগে, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলাসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়। উত্তর দিতে তাকে তিন কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে এ শোকজ নোটিশে উল্লিখিত বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম তথা রাউজান উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শোকজ নোটিশে উল্লিখিত বিষয়ের সঙ্গে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই বলেও দলের লোকজন দাবি করেছেন। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।
আপনার মতামত লিখুন :