জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার দুপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় এক দিন পরে করা হচ্ছে এ কর্মসূচি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ পতনের ১৭ বছর পর পরবর্তীত প্রেক্ষাপটে এ র্যালির মাধ্যমে দলটি জানান দিতে চাচ্ছে নিজেদের শক্তিমত্তা। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ইতোমধ্যে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীর ঢল নামানোর প্রস্তুতি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে বড় শোডাউন করবে বিএনপি।
জানা গেছে, দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হবে। এরপর কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শেষ হবে। র্যালি শুরুর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হবে।
বিএনপি নেতাদের দাবি, র্যালিটি হবে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয়। দীর্ঘ ১৭ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তির পর নয়াপল্টন থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথে নেতাকর্মীরা বিজয়োল্লাস করবেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর ‘আওয়ামী স্টিমরোলার’ উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। এখন মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। র্যালি পরিণত হবে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মিলনমেলায়- এমন আশা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর র্যালির উদ্বোধন করবেন।
৭ নভেম্বর বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, র্যালীসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আপনার মতামত লিখুন :