শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৪৫ বিকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন কর্মসূচি নিয়ে ফের মাঠে নামছে বিএনপি

মহসিন কবির : শেখ হাসিনা পতনের পর কিছুদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি। শুধু সভা-সেমিনার বক্তব্য রাখছেন বিএনপির নেতারা। এবার নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে রাজপথে সরব হওয়ার চিন্তা করছে দলটি। 

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুটি শেষ পর্যায়ে কোনো দিকে মোড় নেয়, তা মাঠে থেকেই পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মাঝে প্রাথমিক আলোচনা শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে আগামী নভেম্বর মাস থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে সমাবেশ করতে পারে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আড়াই মাসের মাথায় আন্দোলনকারীদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসনকে এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত করা যায়নি, যার কারণে আওয়ামী লীগ এখনও প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। 

এই অবস্থায় পতিত সরকারের প্রধানের অডিও ফাঁস ও তার নির্দেশনাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বিএনপি। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ফের রাজপথে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। কারণ দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হোক বিএনপি চায় না। এ জন্য মাঠে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, হঠাৎ করে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বঙ্গভবন পরবর্তী সময়ে ব্যাখ্যাও দেয়। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি জোরালো অবস্থান নেয়। কিন্তু বিএনপি তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ না করে বলেছে, এতে করে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের অবস্থান খোলাসা করে বলেন, দেশে যদি রাজনৈতিক সংকট হয়, সেই সংকটের পেছনে কী শক্তি আছে, সেটা আগে বিশ্লেষণ করতে হবে।

সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও বলেছেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তখন দেশটা পুনর্গঠিত হতে পারে। তা না হলে আমাদের নিয়ে প্রতিবেশী দেশ খেলতেই থাকবে।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। এর মধ্যে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করারও একটা চেষ্টা রয়েছে। নেতাদের ধারণা, এ সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পাঁয়তারা করছে মহলটি। এ জন্য মাঠে থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সভা-সমাবেশ একটি চলমান প্রক্রিয়ারই অংশ। আস্তে আস্তে রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা উচিত। বিভিন্ন ইস্যু সামনে আসছে। এই ইস্যুর ভিত্তিতে আমাদের কাজ করা উচিত।’ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, দল যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা আমরা পালন করব।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তা চায় না জনগণ। বিএনপি একটি বড় দল। পাশাপাশি জনগণের কাছেও জনপ্রিয় একটি দল। জনগণের কথা ভেবে বিএনপি ঘরে বসে থাকতে পারে না। এ জন্য আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে। জনগণের দল জনগণের কাছে যাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়