শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নে যা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি, দেখা হবে আদালতে, দোয়া করবেন সবাই: ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও) ◈ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেননি: মানবজমিন সম্পাদক (ভিডিও) ◈ দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা? ◈ লেবানন থেকে প্রথম ধাপে দেশে ফিরলেন ৫৪ বাংলাদেশি ◈ পাস করানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা ◈ ১ থেকে ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে চড়বেন না! ফের হুমকি খলিস্তানি নেতা পন্নুনের ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডাচ  সরকারের কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি 

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০৫ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলো ছাত্রশিবির

ডেস্ক রিপোর্ট : গুম নেতাকর্মীদের সন্ধান ও অপরাধে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধান ও তাদের সঙ্গে সংঘটিত অন্যায়ের বিচার চেয়ে আজ ২১ অক্টোবর (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম হওয়া ওয়ালীউল্লাহ, আল মুকাদ্দাস, হাফেজ জাকির হোসেন, রেজওয়ান হুসাইন ও জয়নাল আবেদীন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রেজওয়ান হুসাইনের অভিযোগে বেনাপোলের তৎকালীন ওসি অপূর্ব হাসান, তদন্ত অফিসার শামীম আহমেদ ও এএসআই নূরে আলমের নাম উল্লেখ করা হয়।

এ সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং সহকারী আইন সম্পাদক এডভোকেট আমানুল্লাহ আদিব উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কাজ শেষে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৭৫০ নম্বর গাড়িতে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে মধ্যরাতে ওয়ালীউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসকে ঢাকার নবীনগর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দিবাগত রাত ৪টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শ্যামলী রিং রোডের ১৯/৬ টিক্কাপাড়া বাসা থেকে হাফেজ জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বেনাপোল থেকে রেজওয়ান হুসাইনকে এবং একই বছরের ২৩ অক্টোবর বান্দরবান থেকে জয়নাল হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ছাত্রশিবিরের ৬ জন নেতা-কর্মীকে দীর্ঘদিন ধরে গুম করা হয়েছে, কিন্তু তাদের কোনো সন্ধান নেই। তাদের পরিবার এখনো অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ বিচার করবে এবং গুম হওয়া ভাইদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে।” এ সময় তিনি গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় ও বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা গত ৬ আগস্ট সন্ধান চেয়ে ডিবিতে আবেদন করি, কিন্তু আজও তার কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই আজ আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছি। গুম হওয়া প্রতিটি নেতাকর্মীর তথ্য-প্রমাণ আমরা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি।

আমরা চাই, জাতি সঠিক তথ্য জানুক এবং এই অপরাধের বিচার হোক। এসব গুমের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, যা দেশ ও জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবে।”

পরিবার সদস্যদের পক্ষ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে স্বজনদের সন্ধান দাবি করা হয় এবং তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়