শিরোনাম
◈ সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা, যে সব বিষয় নিয়ে হতে পারে আলোচনা  ◈ ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেফতার ◈ ঘূর্ণিঝড় ‌‘ডানা’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেলো ◈ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে ◈ নির্বাচন নিয়ে আসিফ নজরুলের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা ◈ হাওরে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার ◈ ২০২৬ সালের মধ্যেই দেশের প্রথম পাতাল রেল চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ (ভিডিও) ◈ জাতীয় মসজিদের নতুন খতিবকে নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর মন্তব্য ভাইরাল ◈ শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে, জানালেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ এতো দাম দেখে অবচেতনমনেই বলে ফেলি আগেই ভালো ছিলাম : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি বিএনপি নেতা, রিজভীকে লিখিত অভিযোগ

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো. ইসহাক মিয়া ও তার অভিযোগ

রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় গত ৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। ২০১৫ সালের এক ঘটনার জেরে ৯ বছর পর করা এ মামলার বাদী সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর। তবে মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এক নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সূত্র : জাগোনিউজ

বিষয়টির সুরাহা চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো. ইসহাক মিয়া। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। মামলায় তিনি ৭৯ নম্বর আসামি।

ইসহাক মিয়ার অভিযোগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি সামনে রেখে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে। সেখানে তাকে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে একটি মহল।

রুহুল কবির রিজভীকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ইসহাক মিয়া লিখেছেন, তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নানান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে গত ১৮ বছরে তুরাগ থানায় ৭টি এবং উত্তরার দুই থানায় ৮টি রাজনৈতিক মামলায় তিনি আসামি। একটি মামলায় তাকে ৩০ মাসের সাজাও দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন তাকে অনুপ্রবেশকারী সাজানো হচ্ছে।

গত ৮ অক্টোবর করা মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তরা যান। সেদিন উত্তরা ৩নং সেক্টরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

মামলার শেষ লাইনে বলা হয়, ‘হামলার ঘটনাটি সেদিন (১৯ এপ্রিল ২০১৫) প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারও করা হয়’। তবে সেই দিনের বা পরের দিনের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উত্তরায় খালেদা জেয়ার বহরে হামলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা দেখানোর খবর পাওয়া যায়।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, ওইদিন উত্তরায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে কোনো হামলা হয়নি। ভুল দিন-তারিখ ও ইচ্ছামতো আসামিদের নাম দিয়ে মামলা করায় মামলাটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

জানতে চাইলে ইসহাক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমি এর সুরাহা চেয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মামলার বাদী এস এম জাহাঙ্গীরকে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়