শিরোনাম
◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৪১ বিকাল
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেড় বছর পর জাতীয় নির্বাচন, যা বলছে বিএনপি-জামায়াত

এম এইচ বাচ্চু : সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে দেশের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। জাতীয় নির্বাচন বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দেড় বছর পর জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতারা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করছে বিএনপি ও জামায়াতে ইমলামীর দুই নেতা।

সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা মনে করেন নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সেজন্যই নির্বাচনের দরকার। 

জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র মতিউর রহমান আকন্দ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সেনাপ্রধান সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তার বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচন বিষয়ে আমাদের আমির দলের অবস্থান আগেই তুলে ধরেছেন। তিনি জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আপাতত এটুকুই এ বিষয়ে দলের বক্তব্য।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে জুলাই মাসে গড়ে ওঠা আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেওয়ার পর সহিংসতায় এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

রাজধানী ঢাকা ছিল বিক্ষোভের নগরী। ঢাকার রাস্তায় এখন শান্তি ফিরে এসেছে। তবে শেখ হাসিনা প্রশাসনের নাটকীয় পতনের পর সিভিল সার্ভিসের একটি অংশ এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়ে ওঠেনি। ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনী এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, তার নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু করব না যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর হয়। আমি পেশাদার সৈনিক। আমি আর্মিকে পেশাদার রাখতে চাই। কর্মরত কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়। সৈনিকের কখনো রাজনীতিতে জড়ানো উচিত না। 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রয়োজন রয়েছে। তাহলেই দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে এবং তারা বুঝতে পারবে, দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়