রাশিদ রিয়াজঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পৃথক দু'টি মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ৭ দিনের ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ফের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিদের লক্ষ্য করে এজলাসের মধ্যেই ডিম ছুড়েন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। এজলাস থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন ক্ষুব্ধ আইনজীবীকে রাশেদ খান মেননের পিঠে জুতা দিয়ে চপেটাঘাত করতে দেখা যায়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ইনুকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত আদাবর থানায় দায়ের হওয়া গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় মেননকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয় তাদের। ৫টা ১০ মিনিটে এজলাসে তোলা হয় রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুকে। এজলাসের মধ্যেই তাদেরকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়েন কয়েকজন আইনজীবী। ডিম দেয়ালে লেগে ফেটে গিয়ে ইনু ও মেননের গায়ে এসে পড়ে। দুজনের শরীরেই ডিম লেপ্টে যায়। এদিন এজলাসে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের দেখে অনেকক্ষণ হতাশ হয়ে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু। এসময় রাশেদ খান মেননও অবাক চোখে আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। এসময় দুইপাশে দু'জন পুলিশ সদস্য তাকে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। গারদে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন আইনজীবীকে রাশেদ খান মেননের পিঠে জুতা দিয়ে চপেটাঘাত করতে দেখা যায়। এর আগে এজলাসে আনার সময়ও বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা আসামিদের লক্ষ্য করে ডিম ছুড়েন, এসময়ে তাদের ছোড়া ডিম আসামিদের শরীরে এসে পড়ে। এসময় আসামিদের লক্ষ্য করে আইনজীবীদের কিল-ঘুষি দিতেও দেখা যায়।
এর আগে গত ২৬শে আগস্ট বিকালে উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। এরপর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া গত ২২শে আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।