শিরোনাম
◈ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনটি? জেনে নিন এমন ১০টি দেশ সম্পর্কে ◈ দেখা গেছে শাবান মাসের চাঁদ, আরব আমিরাতে রোজা হবে ৩০টি ◈ ‘যে ৪ শর্তে ফিরতে পারবে আ.লীগ’ ◈ সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জাপান : ড. ইউনূস ◈ বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক অংশীদার জেনন্ট্রি বিচ (ভিডিও) ◈ নির্বাচনের বিকল্প নেই, এরসঙ্গে কম্প্রোমাইজ নেই: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ শেভরনের প্রস্তাব নাকচ করেছে বাংলাদেশ ◈ ছাত্ররা দল গঠন করবে, এটা দরকার: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ড. ইউনূস ◈ কোচের বিরুদ্ধে বডি শেমিংয়ের লিখিত অভিযোগ নারী ফুটবলারদের, গণ-অবসরের হুমকি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:২৫ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতি সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছুড়লেও শেষ হতে লাগবে ৫ বছর, বলেছিলেন আরাফাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তখন সারা দেশ ছিল উত্তাল। সেই আন্দোলনে মারা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী। একপর্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার জনতা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তখনও বল প্রয়োগ করে যাচ্ছিল সেই সময়ের স্বৈরাচারী।

পুলিশ বাহিনীকে গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রমাণ যাত্রাবাড়ি, চাঁনখারপুল, উত্তরা, মিরপুর-১০, রংপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে নানা হুমিকি-ধামকিতে ব্যস্ত ছিলেন স্বৈর-সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মধ্যে তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে।’ সেই আরাফাত আটক হয়েছেন মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে আরাফাতকে আটক করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আরাফাত বেশ কিছু মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। কী ছিল তার সেসব বক্তব্যে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালাচ্ছিল, তখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে—রাবার বুলেটের যোগান শেষ হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিষ্ঠিত এই কথাকে নাকচ করে দিয়ে ২১ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বলেছিলেন, ‘সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে; এতো স্টোরেজে আছে, বলে দিচ্ছি আপনাদের (সাংবাদিকদের)।’

১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনে পুলিশের গুলির সামনে দুই হাত প্রসারিত করে নিজের বুক পেতে দেন আবু সাঈদ। পরে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদের আইকনে পরিণত হন তিনি। তারপর থেকে প্রতিটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে জনতা যোগ দিয়ে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। নড়ে ওঠে স্বৈরশাসকের মসনদ।

২২ জুলাই। তখন আন্দোলন তুঙ্গে। এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। ওই বৈঠকে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গকে পরোক্ষভাবে তুলে ধরে আরাফাত বলেন, ‘প্রমাণও পাওয়া গেছে, আন্দোলনকারীদের অনেকে, দে ওয়ার ড্রাগড। তাদের ড্রাগ করা হয়েছে। যেন তারা বুক পেতে পুলিশের সামনে চলে আসতে পারে।’

পরে এই আরাফাতই বলেছিলেন, আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে। তারা যে দাবি করেছে, সরকারও সেই একই দাবিতে আগেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেছে।

অথচ যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ধীর পায়ে শান্তি বজায় রেখে এগোচ্ছিলেন, তখন তাদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে ১৩ জুলাই মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছিলেন, ‘ছাত্রদের যে দাবি—হাইহোর্টের রায় বাতিল করে আগের রায় বহাল রাখতে হবে, আদালতের রায়ে তা পূরণ হয়ে গেছে। এখন আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।’ সূত্র : আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়