আমিনুল ইসলাম: [২] বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার প্রতিদিন দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ছাত্র জনতার উপর হামলে পড়ছে। রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩২ জনকে হত্যা করার খবর আমরা পেয়েছি। এই গণহত্যা আর চলতে পারেনা। ছাত্র-জনতার বুকে আর একটি গুলিও চালাবেন না বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুশিয়ার করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

[৩] বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে  রোববার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা দেন এবি পার্টির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান। 

[৪] সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ দেশে চলমান দখলদার, গণহত্যাকারী, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপামর ছাত্র-জনতার যে ঐতিহাসিক সফল গণঅভ্যুত্থান হতে চলেছে, তার প্রেক্ষিতে এবি পার্টির পক্ষ থেকে নিম্ন লিখিত প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরেন;

[৪.১] শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকারের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। অনির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়ে স্বৈরাচারী শাসকের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রপতিকেও পদত্যাগ করতে হবে। 

[৪.২] স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে অনুর্ধ্ব ২০ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করতে হবে যার মেয়াদ এক বছরের বেশী হতে পারবে না।

[৪.৩] জুলাই গণহত্যা থেকে শুরু করে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং/অথবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আমাদের উন্নয়ন অংশীজন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাহায্য নিতে হবে। যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

[৪.৪] তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে বিদেশে অর্থ পাচারকারী সকল বাংলাদেশীর ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ নিতে হবে; 

[৪.৫] গত ১৭ বছরে দায়ের করা সকল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা  প্রত্যাহার করতে হবে। আয়নাঘর থেকে শুরু করে গোপন ও প্রকাশ্য বন্দিশালা থেকে সকল রাজবন্দিদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

[৪.৬] গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রের উন্নয়ন বাজেট হতে বিভিন্ন প্রকল্পে মেগা-লুটপাটকৃত অর্থের হিসাব, ব্যাংক এবং শেয়ারবাজার লুণ্ঠনের সাথে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

[৪.৭] আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী রাগ,বিরাগ ও অনুরাগের বশবর্তী হয়ে আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২