শিরোনাম
◈ ৫-১০ বছর সময় লাগবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর রিকভারিতে: গভর্নর ◈ নগদ জমা সংরক্ষণের হার কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ স.মকামিতার অভিযোগ নিয়ে যা বললেন তাসনিম জারা ◈ বাংলা একাডেমি অবশেষে মেলায় বই বিক্রির হিসাব জানালো ◈ সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম কোথায় আছেন? এই বিষয় যা জানাগেল ◈ ক্রিকেটার রোহিত শর্মাকে কুকুর বলেছিলেন কঙ্গনা, বললেন কংগ্রেসের মুখপাত্র ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী? যা বললেন ব্যারিস্টার পার্থ ◈ সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার ◈ কারাগারে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের অভিযোগ, যা বলছেন ডিআইজি প্রিজন্স ◈ ভ্যাট কমলেও দাম কমা নিয়ে সংশয় ভোক্তাদের

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:৫৫ রাত
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

সালেহ্ বিপ্লব: [২] রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা এখন অনেকটা ভালো আছেন। মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন দুবার করে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

[৩] শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৮ জুলাই সোমবার ভোর পৌনে ৫টায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাবেক এই  প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ শুরু করেন চিকিৎসকরা।  পরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। 

[৪.১] এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ জুন বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। 

[৪.২] খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক ছিলো। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিলো। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়। ২ জুলাই তিনি বাসায় ফেরেন।

[৫] এর আগে গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার প্রাথমিক চিন্তা করা হয়েছিলো। সেদিন বেগম জিয়াকে চেক আপের পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া আপাতত কিছুটা সুস্থতা বোধ করছেন। এ কারণে তার মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। 

[৬] তার আগে গত ১৩ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শারীরিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর পরদিন তিনি বাসায় ফেরেন। 

[৭] এর আগে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। 

[৮] ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভারসহ কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। 

[৯] ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। সেই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

[১০] করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। পরবর্তীতে ছয় মাস অন্তর এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। 

[১১] সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বাসায় থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

[১২] ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে, কিন্তু অনুমতি মেলেনি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়