রিয়াদ হাসান: [২] আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা আত্মসাৎ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আজ ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’র রূপ লাভ করেছে। এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে ৭১ ও ২৪-এর চেতনায় বিনির্মাণ করতে হবে।
[৩] তিনি বলেন, অবিচার, বৈষম্য ও অপশাসনে বিরুদ্ধে এক নতুন বাংলাদেশের উত্থান ঘটেছে। বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এক নতুন জাগরণ ঘটেছে। ন্যায্যতার শাশ্বত বিধান লঙ্ঘন এবং সাংবিধানিক অধিকার তথা গণতন্ত্র থেকে জনগণকে বঞ্চিত করায় সমগ্র দেশজুড়ে মুক্তিকামী মানুষের ‘গণজাগরণ’ সৃষ্টি হয়েছে।
[৪] শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আ স ম রব।
[৫] জেএসডি সভাপতি বলেন, ছাত্রদের সংগ্রামের সাথে শিক্ষক, জনতা, শ্রমিক, আইনজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলীসহ সর্বস্তরের জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের সন্তানদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হবে আর জনগণ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে এই দিন শেষ হয়ে গেছে। কারণ সংগ্রাম এবং প্রতিরোধের গতিবেগ প্রতিদিন দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে।
[৬] তিনি বলেন, এই গণজাগরণে শত শত ছাত্র জনতা খুন হয়েছে, হাজার হাজার গুলিবিদ্ধ হয়েছে, ঘরের ভেতরও গুলিতে নিহত হচ্ছে শিশু। আন্দোলন লড়াইয়ে যারা প্রাণ বলিদান করছে এবং বুলেটের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সাথে সংগ্রাম এগিয়ে নিচ্ছে তারা সবাই এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মৌলিক তাৎপর্য উপেক্ষা করে মিথ্যা বয়ান উত্থাপনের মাধ্যমে শুধুমাত্র নির্বিচারে গুলি করে আন্দোলন স্তব্ধ করতে চাইলে সংঘাত এবং রক্তপাত অনিবার্য হয়ে পড়বে।
[৭] আ স ম রব বলেন, এই মুহূর্তে প্রজাতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান জনগণের সপক্ষে অবস্থান গ্রহণ না করলে রাষ্ট্র ধ্বংসের মুখে পতিত হবে, স্থিতিশীলতা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। সুতরাং দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী এবং শ্রমিক সংগঠনসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন লড়াইকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :