আমিনুল ইসলাম : [২] জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করতে সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত ও সংবিধান বিরোধী নির্বাহী আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদের নতুন ইস্যু তৈরি করে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করছে।
[৩] বৃহস্পতিবার রাতে লেবার পার্টির প্রচার সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা বলেন জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় সকল সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সংগঠন, রাজনীতি ও মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের যেমন বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা লেবার পার্টিসহ যে কোন দল করার অধিকার আছে। তেমনি জামায়াত শিবির করারও অধিকার রয়েছে।
[৪] লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে গনহত্যা ও গণগ্রেফতার থেকে জনগন ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আড়াল করতে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগনের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে জামায়াত শিবিরকে জঙ্গিবাদী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
[৫] তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ছাত্রসমাজের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে গণহত্যা ও গণগ্রেফতার চালিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে তোপের মুখে পড়েছে। তাই দেশের জনগন ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টিকে আড়াল করতে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করে চিরুনী অভিযানের নামে জঙ্গি নিধনের নাটক সাজানোর ক্ষেত্র তৈরি করতেই ভারতীয় প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করেছে।
[৬] তারা আরো বলেন, সরকার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের যে বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা বাংলাদেশ লেবার পার্টি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
[৭] বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিংধান কাউকে এমন এখতিয়ার দেয়নি। কোনো দল বা জোট অন্য কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু হলে এক দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্র্রিক আন্দোলনে জামায়াত ঐতিহাসিক ভুমিকা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াতের সাথে বসে অতীতে অনেক হরতাল অবরোধ আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচী পালন করেছে। এরকম একটি গণতান্ত্রিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী।
আপনার মতামত লিখুন :