বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] জামায়াতে ইসলাম ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ বাংলাদেশে যেসব দল জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদী আদর্শ ধারণ করে এবং তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে তার প্রায় সবগুলোই নিষিদ্ধ। বিভিন্ন সময়ে পুলিশের তালিকা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইসলামী নেতার সঙ্গে আলোচনা করে এই নিষিদ্ধের সংখ্যাটি পাওয়া যায়। তবে এই সংখ্যাটি নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যমে যাচাই করা যায়নি।
[৩] এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৮টি সংগঠন নিষিদ্ধ। তবে নানাভাবে এসংখ্যাটি আরো বেশিও হতে পারে।
[৪] সেগুলো হলো আল্লাহর দল, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, তামীরউদ্দীন বাংলাদেশ, তৌহিদী ট্রাস্ট, হিজবুত তাওহিদ, শাহাদত-ই-নবুয়ত ও জামাত-আস-সাদাত, জামিউতুল ফালাহ, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, মিয়ানমার লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা লিবারেশন ফোর্স, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্স পার্টি, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, মুসলিম মিল্লাত, আল হারাত-আল-ইসলামিয়া, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট, তৌহিদী জনতা, জুমাদআতুল আল সাদাত, তামিরউদ্দীন দ্বীন বাংলাদেশ, আল খিদমত, হিজবুল মাহদি, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, দাওয়াতি কাফেলা, বাংলাদেশ এন্টি টেররিস্ট পার্টি, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল ইসলাম মার্টেনস ব্রিগেড, সত্যবাদ, মুসলিম মিল্লাত, শরিয়া কাউন্সিল, জমিয়ত আহলে হাদিস আন্দোলন, জামায়েতুল মুজাহেদীন, হারকাতুল জেহাদ, শাহাদতই আল হিকমা, বাংলাদেশ, তাজির বাংলাদেশ, হায়াতুর ইলাহা, ফোরকান মুভমেন্ট, জামিউতুল এহজিয়া এরতাজ, আনজুমানে তালামিজ ইসলামিয়া, কলেমার জামাত, সাহাবা পরিষদ, কাতেল বাহিনী, মুজাহিদিন-ই-তাজিম, এশার বাহিনী, আল ফাহাদ, হরকাতুল মুজাহিদিন, জাদিদ আল কায়দা ও হিজবুত তাহরির।
[৫] জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ি দেশে ইসলামী দলের সংখ্যা ৭০টি। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল ১১টি।
[৬] নিবন্ধিত দলগুলো হলো, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামা, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও খেলাফত। সম্পাদনা: এম খান
বিডি/আইকে/এনএইচ