শিরোনাম
◈ ইরানে হামলা করলে বিপর্যয় নেমে আসবে: রাশিয়ার হুঁশিয়ারি  ◈ নির্বাচনের সম্ভব্য সময় নিয়ে বিতর্ক, সন্দেহ-সংশয়ে রাজনীতিবিদরা ◈ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন: প্রথম দিনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন দু’জন ◈ দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট: ক্ষমা চেয়ে ৪ দফা দাবী তুলে ধরেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা ◈ পরিবারসহ রাতের আঁধারে ভারতে যাওয়ার পথে ধরা পড়লেন তারা ◈ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতার, বিজিবির বাধায় পণ্ড ◈ ১৯ দিনে ডেঙ্গুতে ৭৮ জনের প্রাণহানি ◈ সৌদির টিভি অফিসে হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় হামলা-আগুন ◈ স্বর্ণের দামে বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস ◈ প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন আউটসোর্সিং কর্মীরা

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যারা রক্ষা করবে, তারা বন্দুক তাক করে রয়েছে: জিএম কাদের

মোস্তাফিজার বাবলু, রংপুর: [২] যারা মারা গেছেন ,সরকার চেষ্টা করেও তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেনি। আমার প্রশ্ন-তাহলে নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন?

[৩] বুধবার বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এ প্রশ্ন করেন।

[৪] জিএম কাদের বলেন, নির্বিচারে এ জন্যই বলছি- তারা যদি সন্ত্রাসী দমন করতে চায় তাহলে আগে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে হবে। তারপর না হয় তাদের প্রতিহত করার প্রশ্ন আসে। কিন্তু বহুতল ভবন থেকে, হেলিকপ্টার থেকে যখন গুলি করা হয় তখন নিচে কে সন্ত্রাসী, কে ভালো মানুষ, কে শিশু, কে পথচারী তারা কীভাবে বুঝবে? তার মানে হলো, তারা এটাকে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দমন নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে দেশ এখানে উদ্ধার হয়নি।

[৫] জিএম কাদের আরও বলেন, সরকার এবং সরকারি দল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্র আমাদের সবার। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সম্পদ। এরা রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, জনগণের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে। সেখানে সরকারকে রক্ষার জন্য তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, প্রতিরক্ষাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা দেশ ও জনগণকে রক্ষা করবে তারাই জনগণের দিকে বন্দুক তাক করেছে। সরকার গদি রক্ষার জন্য যেটা করছে তা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

[৬] বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। আবারও জনগণ মাঠে নামবে, মানুষ মারা যাবে। এক সময় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমি মনে করি এ থেকে উত্তরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

[৭] জিম কাদের বলেন, আমার জীবনে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি কিন্তু এমন সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে এরকম আন্দোলন হয় আগে দেখিনি। দীর্ঘদিন থেকে মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে, মানুষ নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। সব বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাতে ছাত্রদের সঙ্গে জনগণ মাঠে নেমেছে।

[৮] জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রশাসনিক অর্ডারে বন্ধ করা ঠিক নয়। জনগণ তাদের জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষতিকারক মনে করলে তারা বয়কট করবে। এক সময় সেই রাজনৈতিক দল বিলীন হয়ে যাবে। জোর করে কিছু করলে তাদের যদি গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক কাঠামো থাকে, তাহলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ বপণ হতে পারে।

[৯] কোটা আন্দোলন নিয়ে জিএম কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনে নির্বিচারে যাদের গুলি করে হত্যাকারীদের নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া মানুষকে হয়রানি, মামলা মোকদ্দমায় ফেলা হচ্ছে। মামলা দেওয়া হলো একজনকে পঙ্গু করে দেওয়া। মামলা হলে আদালতে যাওয়া, জামিন নেওয়া, মামলা মোকাবিলা করাসহ নানা সমস্যা জর্জরিত হয়ে ছাত্ররা নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমি ছাত্রদের নামে মামলা দেওয়ার ঘটনাটি ঘৃণার সঙ্গে প্রতিবাদ করি। আওয়ামী লীগও এক সময় বিএনপি দ্বারা এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়