আমিনুল ইসলাম: [২] ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকারের ব্যবসায় ধস পড়ছে, সরকারের ভুয়ামি জাতি সব বুঝে গেছে।
[৩] বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপস্থিত ছিলেন।
[৪] মুফতী ফয়জুল করীম আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও জাতিকে বিভক্তি সৃষ্টি করে এককভাবে ফায়দা নেয়ার দিন শেষ আওয়ামী লীগের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার চেতনা কোনো একক দলের চেতনা নয়। স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাম্যের চেতনা সারা বাংলার মানুষের চেতনা। সরকার এটাকে পুঁজি করে ব্যবসা করে আসছে। ছাত্রদের রাজাকারের নাতি-পুতি বলে চপেটাঘাত খেয়ে এখন তা অস্বীকার করছে।
[৫] তিনি বলেন, সরকার একটি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশটিতে এখন কোনো গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা আছে, এটি মনে করার কোনো কারণ অবশিষ্ট নেই। সরকার আজ পর্যন্ত এত নির্মমতা, এত হত্যাকাণ্ড, এত নির্যাতন, এত নিপীড়নের পরও কোনো ধরনের দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী স্থাপনা ধ্বংসে মায়াকান্না করলেও শত শত জীবন চলে গেল এর জন্য অনুতপ্ত নেই, দুঃখ নেই। এটাই সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।
[৬] তিনি আরো বলেন, দেশবাসী স্পষ্টভাবে দেখেছি, এই সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে ওবায়দুল কাদেরের কী পরিমাণ দায় রয়েছে। তিনি ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার পরেই কিন্তু সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। এই আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন হয়ে গেছে। এখন সকলেরই উচিত যার যার অবস্থান থেকে এ আন্দোলনে নেমে পড়া, সহযোগিতা করা।
[৭] মুফতী ফয়জুল করীম ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, গ্রেপ্তার, টিয়ার সেল নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃত সকল ছাত্র, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :