রিয়াদ হাসান: [২] লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনরত দলগুলোর ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। দুর্নীতিবাজ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কায়েম করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

[৩] তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে যে ঐক্যের ডাক দেয়া হয়েছে, সেই পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন করি এবং সাধুবাদ জানাই। আমরা এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল থাকার ঘোষণা প্রদান করছি।

[৪] শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন কর্নেল অলি আহমেদ।

[৫] তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আইন, নিয়ম নীতি হলো শুধু সাধারণ মানুষের জন্য। যারা বর্তমানে সরকারে আছে বা সরকারি দল, তাদেরকে কোন নিয়ম-নীতি বা আইন মানতে হয় না। তারা যাকে ইচ্ছা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে, যাকে ইচ্ছা দোষারোপ করে, কারণ তারা পথভ্রষ্ট এবং সরকারের সেবাদাস। ঘটনা ঘটায় সরকার, আর দোষারোপ করা হয় বিরোধী দলগুলোকে।

[৬] কর্নেল অলি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, ধামাচাপা দিয়ে কখনো সমস্যার সমাধান হবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের উপর অমানবিক অত্যাচার হয়েছে এবং গভীর রাত্রে অসহায় ছেলেমেয়েদেরকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে হল থেকে বের করে দিয়ে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কয়েক হাজার আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার এবং ছাত্রলীগ কিভাবে দায় এড়াতে পারবে?

[৭] তিনি বলেন, এই সরকারের সময় তৎকালীন বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হেফাজত হত্যাকাণ্ড এবং কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গোলাগুলি আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। সময় লাগতে পারে, তবে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। ঘটনাগুলোকে যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক, বা নতুন নতুন নাটক করা হোক, এতে কিছু আসে যায় না। প্রকৃত ঘটনা দেশের জনগণ দেখেছে এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সুতরাং বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই।

[৮] সরকারকে দ্রুত পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করুন, মানুষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত, তাদেরকে হয়রানি বন্ধ করুন। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুন, ইন্টারনেট চালু করুন। ক্ষমতা ত্যাগ করুন, জনগণকে মুক্তি দিন। আপনারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছেন, পর্বত পরিমান সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, এর থেকে আর বের হতে পারবেন না। কারণ, ছাত্র-ছাত্রীদের বা দেশের মানুষদের সমস্যার সমাধান আপনারা দিতে পারবেন না। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দ্রুত পদত্যাগ করাই আপনাদের জন্য একমাত্র সমাধান। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২