শাহীন খন্দকার: [২] বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, এখনো কয়েকজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে, মামলায় আটক হয়েছে অনেকেই। এটা সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
[৩] বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের অভিযোগ-তাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করেছে। তার শরীরের ক্ষতচিহ্ন এবং নির্যাতনের পৈশাচিকতার বর্ণনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
[৪] জি এম কাদের আরও বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান সরকারকেই দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
[৫.১] বুধবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের এ সব কথা বলেন।
[৫.২] বিবৃতিতে আরও বলেন, গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের পিতা বিল্লাল হোসেন তার সন্তানের সন্ধান দাবি করেছেন। তিনি জানেন না তার ছেলে কোথায় আছে।
[৫.৩] এমনিভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদসহ আবু বারেক মজুমদার ও রিফাত মাহমুদেরও সন্ধান পাচ্ছে না স্বজনরা। ছাত্ররা জানায়, সাধারণ ছাত্রদেরও অনেককেই সন্ধান পাচ্ছে না তারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, স্বজনরা নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে হাসপাতালের মর্গে ছুটছে।
[৬] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারই স্বীকার করছে, ছাত্রদের আন্দোলন ছিল অহিংস। যদি তাই হয়, তাহলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর নির্যাতন কেন? নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধানে স্বজনদের মর্গে ছুটতে হচ্ছে কেনো? এমন হৃদয়বিদারক ও নিন্দনীয় ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে ঘটেছে বলে জানা নেই।
[৭] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিবৃতিতে দাবি করেন, আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সাধারণ ছাত্রদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসকে/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :