শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের নতুন দল গঠনের ঘোষণা, রাজনীতিতে নানা আলোচনা ◈ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে: আখতার হোসেন (ভিডিও) ◈ ভারতের সাম্ভালে মুসলিম সংসদ সদস্যকে বিদ্যুৎ চুরির জন্যে ২ কোটি টাকা জরিমানা ◈ কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বিএনপি নেতারা ◈ পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে: সিটিটিসি প্রধান  ◈ বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৩৮ জনের প্রাণহানি ◈ বিএনপি অফিসে আ.লীগের হামলা, আহত ১০ ◈ ২৫ ক্যাডারের নতুন সংগঠন ◈ চলতি মাসের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি ২২ পেশাজীবী সংগঠনের

রিয়াদ হাসান: [২] সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ ২২টি পেশাজীবী সংগঠন।

[৩] বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান তারা।

[৪] এতে পেশাজীবী নেতারা চলমান ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। একইসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

[৫] নেতারা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করি। কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না। এ কোটার কারণে প্রতিভাবান অনেক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন।

[৬] কোটা ব্যবস্থার বাতিলের কথা তুলে ধরে তারা আরও বলেন, কোটা ব্যবস্থার বিলোপ হলে, সকল প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের প্রকৃত প্রতিভার স্বীকৃতি পাবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে সরকারি খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।

[৭] নেতারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ছাত্রলীগ নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ছাত্রদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে। শিক্ষার্থীরা যখন কোটা বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিল তখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকেন তারা।

[৮] নেতারা বলেন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের উস্কানি ও আস্কারা পেয়ে ছাত্রলীগ মঙ্গলবার ছাত্র হত্যার উন্মত্ততায় মেতে উঠে। আমরা বিশ্বাস করি সরকার সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হলে এত প্রাণহানি ঘটতো না। কিন্তু ৭১'র পাকিস্তান স্বৈরাচারী সরকারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার আলোচনার পথকে ছুঁড়ে ফেলে 'রক্ত'ই বেছে নিল।

[৯] তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুধু শিক্ষার্থীদেরই বিক্ষুব্ধ করেনি, তাদের অভিভাবকদেরও ক্ষুব্ধ করেছে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

[১০] বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন-বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট  জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব- সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব  ডা. মো. আব্দুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব সভাপতি প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানসহ আরও অনেকে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়