আমিনুল ইসলাম: [২] বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ৭ জন নিহত হওয়ার অভিযোগ এনে এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
[৩] এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি দলের হত্যা ও নৃশংসতার কারণে ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। দেশপ্রিমক জনগণকে গণআন্দোলনে শামীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান দলটির নেতারা।।
[৪] বুধবার সকাল ১১টায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে এবি পার্টির কালো পতাকা মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন, প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন ঘুরে আবার বিজয়নগর এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
[৫] গণমিছিলের ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান, এনডিএম মহাসচিব মমিনুল আমিন।
[৬] মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মেজর অব. মিনার বলেন, যখনই প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে ফিরে তার পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন তখনই পুরো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলার জন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে ছাত্র হত্যা। গতকালকে নিহত এই ৬ জনের হত্যার পুরো দায় ওবায়দুল কাদেরের।
[৭] মজিবুর রহমান মঞ্জু আবু সাঈদকে নতুন প্রজন্মের বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করে বলেন, তার এই খুনের দায় প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে নিতে হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে আজ ছাত্রলীগকে হেলমেট বাহিনীতে পরিণত করেছে। যার ফলে গোটা দেশের মানুষের কাছে ছাত্রলীগ এখন ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তিনি ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা ছাত্ররাজনীতি করেই এখানে এসেছি। আজ তোমাদের প্রতি মানুষের এই ঘৃণা দেখে আমাদেরও লজ্জা হচ্ছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এআই/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :