শাহীন খন্দকার: [২.১] কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল অংশ নেয়া ৬ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর ক্ষোভ-শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
[২.২] বুধবার গণমাধ্যমে এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
[৩] জি এম কাদের একইসাথে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক। তাদের এ যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।
[৪]শোকবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন ঠাণ্ডা মাথায় একের পর এক গুলি করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পুলিশ।এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের ভিডিও বিশ^বাসী দেখেছে।
[৫] তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া, সরকারি দলের আনুগত্যে অন্ধ ও অনুপযুক্ত আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্য এবং সশ্রস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নির্বিচারে হামলা করেছে আন্দোলনরত নিরিহ ছাত্রদের ওপর।
[৬] সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, গণমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আগ্নেয়াস্ত্রবের করে সরকারী দলের অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ওপর গুলি করেছে। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রধারীদের বাধা দেওয়া হয়নি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাতের আঁধারে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরীহ ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি এইসব নরপশুদের নির্যাতন থেকে।
[৭] বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকায় কিছু দিন আগে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আইন শৃংখলা বাহিনী দরকারের বেশী শক্তি প্রয়োগ করেনি বোঝা যায়। কেননা, শ্রীলংকায় এতবড় আন্দোলন হলো কিন্তু কোন মায়ের কোল খালি হয়েছে বলে শুনিনি।
[৮] শোকবার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সাথে নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত ছাত্রদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিও জানান তিনি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :