শাহীন খন্দকার: [২] সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আজ পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকাসহ সারা দেশে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ এবং স্মরণসভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পার্টির প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করবেন জাতীয় পার্টি ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন।
[৩] রাজধানীর জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে । কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত চলছে।
[৪] এছাড়া আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দোয়া মাহফিল ও সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। জাতীয় পার্টি মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপিসহ দলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন।
[৫] হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কুচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসে। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। তিনি ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন।
[৬] ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
[৭] ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এই পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গ্রেফতার হন।
[৮] ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় পাঁচটি করে আসনে জয়ী হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয়ী হয়। এরপর দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় পার্টির সূত্রে তথ্য সংগ্রহ। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :