রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। আমরা কদিন পর পর দোয়া করছি। হ্যাঁ দোয়া একটি ভালো বিষয়। তবে দোয়া মাহফিল রাজনীতির অংশ নয়। ধর্মীয় অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করবো। আর দোয়ার সঙ্গে দাওয়াইও লাগবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধর্মীয় অংশের বাইরে রাজনৈতিক অংশ হিসেবে দাওয়াইও লাগবে। কারণ রাজনৈতিক দাওয়া বিহীন খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না।
[৩] বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আবুল হোসেন।
[৪] মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ওই সময় আমি, গয়েশ^র চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সফলতা ছিল এটুকু যে, সবসময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে মূল দল বিএনপিসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো ছিল। একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ^াস ছিল। আমরা আন্দোলন করে একে একে তিনবার বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলাম।
[৫] যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আরএইচ/এলআরবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :