রিয়াদ হাসান: [২] ‘আগ্রাসন বিরোধী নাগরিক সমাজ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতের আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে সফল হতে হলে ভারত রাষ্ট্রের চরিত্র সম্পর্কে জানতে হবে। ভারত আমাদের আকাশসীমার আয় তুলে নেয়, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। সরকার তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ভারত কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। তাদের হস্তক্ষেপে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে গেছে।
[৩] বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।
[৪] সভায় অধ্যাপক ড. মাহবুবুল্লাহ বলেন, ভারত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত চেয়েছিল পাকিস্তান ভাগ হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হোক। ভারত তাদের চিকেন-নেককে স্পর্শকাতর হিসেবে দেখে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই করিডোর সমঝোতা বিপদজনক, কেননা এই সমঝোতায় মাধ্যমে তৃতীয় রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
[৫] রাষ্ট্র বিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, কোটা বিষয়টা একটা মীমাংসিত ইস্যু, সেটা সরকার আবার সামনে কেন নিয়ে আসলো? এর পিছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে। আজিজ-বেনজীরদের দুর্নীতির খবর ঢাকতে এসব নাটক। এসব করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে চায়।
[৬] আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, কারা এমপি মন্ত্রী হবে সেটা ঠিক করে দিতে পারেন, কে প্রধান বিচারপতি হবেন সেটা ঠিক করে দিতে পারেন, কিন্তু দেশের জনগণকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। মোদি তো টেনেটুনে পাশ করে সরকার গঠন করেছে, কিন্তু আমাদের দেশে তো নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিয়েছেন।
[৭] কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশকে পুরো ব্লকেড করেছেন শিক্ষার্থীরা, এ কথা উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এই কোটা সংস্কারের মাধ্যমে কেবল সবার চাকরি নিশ্চিত হবে না, তাই রাষ্ট্র সংস্কারে মাধ্যমে একটি সুন্দর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
[৮] আগ্রাসন বিরোধী নাগরিক সমাজের সদস্য মু. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, আইনজীবী ও কলামিস্ট সাইমুম রেজা পিয়াস, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মুর্শেদ প্রমুখ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :