শিরোনাম
◈ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে: আখতার হোসেন (ভিডিও) ◈ ভারতের সাম্ভালে মুসলিম সংসদ সদস্যকে বিদ্যুৎ চুরির জন্যে ২ কোটি টাকা জরিমানা ◈ কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বিএনপি নেতারা ◈ পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে: সিটিটিসি প্রধান  ◈ বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৩৮ জনের প্রাণহানি ◈ বিএনপি অফিসে আ.লীগের হামলা, আহত ১০ ◈ ২৫ ক্যাডারের নতুন সংগঠন ◈ চলতি মাসের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে ◈ আত্মসমর্পন করে আদালতে শেখ হাসিনার নামে আওয়ামী নেতাদের শ্লোগান (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৪ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ: ১২ দলীয় জোট

আমিনুল ইসলাম: [২] সোমবার চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণের সময় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন। জোটের নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে করা ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য গোলামে পরিণত করবে। হিন্দুস্থানের সেবা দাস অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে করা ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রকারান্তরে দিল্লির গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছেন।

[৩] তারা বলেছেন, কানেক্টিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগ নামে করিডোর প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

[৪] প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আপনাদের নিশ্চয়ই ১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের গোলামী চুক্তির কথা স্মরণ আছে। আজ অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ৫২ বছর পর শেখ হাসিনা গত ২২ জুন ভারতের সাথে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করছে তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য করদ রাজ্যে পরিণত করবে।

[৫] তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ রাখতে আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে হলেও এই ধরনের গোলামী চুক্তি প্রতিহত করা হবে। ভারতীয় সরকারের সীমাহীন আগ্রাসন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ, শোষণ, সীমান্তে হত্যা, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান মোস্তফা জামাল হায়দার।

[৬] ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আরো বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা,তিস্তা,টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধ হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।

[৭] নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবো। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোন চুক্তি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

এআই/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়