ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘জেনারেল কাসেম সোলাইমানি : ইসলামি উম্মাহর নিরাপত্তা রক্ষায় শহিদ' শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পায়ের আহমেদ। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি, শিক্ষাবিদ, সমরবিদ, গবেষক ও সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এর ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত আশরাফ আল দীন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মহিয়ুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ ও সন্ত্রাসী বিরোধী অমর সেনানায়ক জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হলেন একজন বীর মুজাহিদ এবং নিকট অতীতে আল্লাহর কাছে পৌঁছে যাওয়া একজন শহীদ।তিনি এমন এক বীর সেনানায়ক ছিলেন যাঁর অমিত তেজ, সাহস ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রচণ্ড ভয় করতো সন্ত্রাসীরা। তিনি ছিলেন এই পৃথিবীর সম্পদ ও সম্মানের বিষয়ে নির্লোভ, একজন আপাদমস্তক সৈনিক, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মুসলমান। তিনি ছিলেন, দম্ভহীন সাধারণ সৈনিকের কাতারের মানুষ। কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব, প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রচণ্ড ভয় পেত ইসলামের দুশমনেরা! তাঁর নাম শুনলে ওদের শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের শীতল প্রবাহ বয়ে যেতো; শুকিয়ে যেতো মুখ, ভীত শেয়ালের মতো লুকোবার গর্ত খুঁজতো তারা, আর তাই কাপুরুষের মতো যুদ্ধের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে চোরাগুপ্তা হত্যা করে আল্লাহর এই সৈনিককে।
বক্তারা বলেন, ইসলামের দুশমনেরা জানে না একজন কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু হলে আরও শত জন জিন্দা দিল দাঁড়িয়ে যায় শাহাদাতের তামান্না নিয়ে! তারা জানে না আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কতটা পাগলপারা প্রতিটি মুসলমান মর্দে মুজাহিদ।
বক্তারা আরো বলেন, ভীরু কাপুরুষের মতো গুপ্ত হত্যাকারী ঘৃণ্য মানুষগুলো জেনারেল সোলাইমানিকে শহিদ করলেও পৃথিবীর কোনো ঈমানদার মুসলমান এই দুঃখকে হজম করতে পারবে না কোনো দিন। অগণিত কাসেম সোলাইমানি জন্ম নেবে দেশে দেশে যুগের পর যুগ মুসলমানদের ঘরে ঘরে, আর বিজয়ের পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাবে সম্মুখের দিকে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আপনার মতামত লিখুন :