জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কোনো তথ্য বা ছবি সংশোধন করতে হলে কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। ভুল সংশোধনের জন্য যথাযথ প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে নির্বাচন অফিস বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে হবে।
কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য অনলাইন বা এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং কিংবা উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হয়। সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণপত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
সংশোধিত তথ্যের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
যদি পিতা, স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। অবিবাহিত কারো পরিচয়পত্রে ভুলবশত স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলে বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযুক্ত করতে নিকাহনামা এবং স্বামীর পরিচয়পত্র জমা দিতে হয়।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর তালাকনামা জমা দিয়ে স্বামীর নাম বাদ দেওয়া সম্ভব। একইভাবে, নতুন বিয়ের পর বর্তমান স্বামীর নাম যুক্ত করতে আগের তালাকনামা ও নতুন কাবিননামা জমা দিতে হবে।
কার্ডে পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হয়। তবে কার্ডে পেশার তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
অস্পষ্ট ছবি পরিবর্তন করতে হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।
নাম সংশোধনের জন্য এসএসসি/সমমান সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, নিকাহনামা এবং পিতা/মাতার পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হয়। ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য এফিডেভিট, জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ ও সংশ্লিষ্ট সনদ দাখিল করতে হয়।
পিতা বা মাতা মৃত হিসেবে উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করা আবশ্যক। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ফর্ম ১৩ পূরণ করতে হয় এবং একই ভোটার এলাকার মধ্যে বানান সংশোধনের জন্য সাধারণ সংশোধনের ফর্ম ব্যবহার করা যায়।
বয়স বা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে হলে এসএসসি বা সমমানের সনদ দাখিল করতে হয়। প্রমাণপত্র না থাকলে, প্রয়োজনীয় তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে বয়স নির্ধারণ করা হয়।
একই পরিবারের সদস্যদের কার্ডে পিতা বা মাতার নাম বিভিন্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট সকলের কার্ড কপি ও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। বয়স বৃদ্ধির জন্য কার্ডে ভুল তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়।
যদি অন্য ব্যক্তির তথ্য কার্ডে চলে আসে, তাহলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে বায়োমেট্রিক যাচাইসহ আবেদন করতে হবে। রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট জমা দিতে হয়।
স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য নতুন স্বাক্ষরের নমুনা ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে এবং একবারই স্বাক্ষর পরিবর্তন করা যাবে।
একটি কার্ডের কোনো তথ্য কেবল একবারই সংশোধন করা সম্ভব। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া সংশোধনের আবেদন গ্রহণ করা হয় না।
এ জাতীয় বিষয়ে কোনো প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। উৎস: কালের কণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :