বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন শীর্ষ সমন্বয়কদের ফেসবুক আইডি বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক আইডি বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সার্চ করেও পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এই তালিকায় আরও কয়েকজন সমন্বয়ক রয়েছেন, যারা তাদের ফেসবুক আইডি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত রাফী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমসহ আরও অনেকে রয়েছেন।
এদিকে, Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকা অনেকের আইডি ও পেজ ডিজেবল করা হয়েছে।’ পেজে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাইদ আব্দুল্লাহর পেজটি ফেসবুক থেকে রিমুভ করা হয়েছে।
একটি আরেকটি পোস্টে পেজটি উল্লেখ করে, “কোটা আন্দোলনের নাম করে বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা পুরো পৃথিবীর সামনে দেশের ভাবমূর্তি এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দুর্বল করার পাশাপাশি পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম সমন্বয়ক ছিল রিফাত রশিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার জন্য ‘Rifat Rashid’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খান তালাত রাফীসহ দুজন আন্দোলনকারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার পর, নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্যান্য নেতারা তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়েব আহমেদ তার ফেসবুক আইডিতে বুধবার রাত ৯টার দিকে এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘‘যেসব আইডি খেয়ে দেওয়া হয়েছে (বন্ধ করা হইছে) সেগুলোর লিংক/ভ্যালিড ইউআরএল দিন।’’ তার স্ট্যাটাসের নিচে শতাধিক মন্তব্যে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ফেসবুক আইডি এবং পেজ হ্যাক হওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। উৎস: জনকণ্ঠ ও ৭১ টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :