টাকা ধার নেওয়ার পর ফেরত দেওয়ার সময় অনেকেই গড়িমসি করেন। অনেকেই নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও পাওনা টাকা পরিশোধ করতে চান না। এক্ষেত্রে ঋণদাতা অনেক সময় পাওনা টাকা নিতে অসমর্থ হন। আবার অনেক সময় পরিবারের কেউ বা সহকর্মী বা আত্মীয় স্বজনের কেউ টাকা ধার নিলে যদি তা ফেরত দিতে গড়িমসি করে তাহলে আমরা সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে প্রয়োজন থাকা স্বত্ত্বেও তা চাইতে পারি না।
তাই চলুন এ সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লিখিত চুক্তি: ভবিষ্যতে এমন সমস্যা এড়ানোর জন্য পরিচিত কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে একটি লিখিত চু্ক্তি করে নিলে ভালো হয়। এছাড়াও টাকার পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে বাংলাদেশে যে ঋণ পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া আছে তা অনুসরণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে চুক্তি পত্রে পরিশোধের তারিখ, সময়সীমা উল্লেখ করা থাকবে। ঋণগ্রহীতা যদি কোনো কারণে ঋণ পরিশোধ করতে বিলম্ব করে বা অপরাগ হয় তাহলে চুক্তিতে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পাবেন।
স্পষ্টভাবে কথা বলা: ঋণ পরিশোধের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও যদি গ্রহীতা তা ফেরত না দেয় তাহলে ঋণগ্রহীতার সঙ্গে এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলা। শান্তভাবে তার ঋণ পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া। অনেক সময় ঋণগ্রহীতা ভুলে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাকে সময়সীমা শেষ হওয়ার পূর্বে পুনরায় মনে করিয়ে দেওয়া। ঋণ প্রদানের সময় স্পষ্টভাবে প্রদানের তারিখ তুলে ধরা।
আংশিকভাবে নেওয়া : অনেক সময় ঋণগ্রহীতা যদি পুরো ঋণ একবারে দিতে অপরাগ হন তাহলে পুরো টাকাটা ভাগ ভাগ করে নেওয়া। উদাহারণস্বরুপ, কেউ যদি আপনার কাঝে ২০ হাজার টাকা ধার নেয় এবং পরবর্তীতে সে একবারে সে টাকা ফেরত দিতে অপরাগ হয় তাহলে ঋণগ্রহীতার সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে তা নেওয়া।
সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া : যদি ঋণগ্রহীতা আপনাকে পরিশোধের তারিখ না করে দেন, তাহলে আপনি তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিতে পারেন। ভদ্রভাবে ঋণগ্রহীতাকে জানান যে কেন আপনার এটি নির্দিষ্ট তারিখে ফেরত প্রয়োজন। তার লক্ষ্য ঠিক থাকলে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ধারের টাকা ফেরত দিতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :